21 March 2020 , 3:22:51 প্রিন্ট সংস্করণ
মোঃ মিজানুর রহমান ॥ সাংবাদিকের অনুসন্ধানে পক্ষিয়া ৭ ও ৮ নং ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগের দীর্ঘ শাসনামলে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি বললেই চলে। ২০১৩ সালে মেঘনায় বেরিবাধ না থাকার কারণে অতিরিক্ত জোয়ারের পানিতে খন্ড বিখন্ড হয়েছিল এই অঞ্চলের রাস্তাঘাটগুলো। সাময়িক কিছুটা সার্ভিসিং করা হলেও অদ্য পর্যন্ত পড়ে আছে পরিত্যক্ত অবস্থায়। পক্ষিয়া ইউনিয়নের ,২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী মোট জনসংখ্যা সংখ্যা (৩৫ হাজার ৩ শত) তারমধ্যে ৭ নং ওয়ার্ডে (৭ হাজার ৯ শত ৯০)এবং ৮নং ওয়ার্ডে(৬ হাজার ১ শত ৭০) এই বহুল জনবসতিপূর্ণ ওয়ার্ড গুলির রাস্তাগুলো প্রতি নিহত যাতায়াতের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। যদিও অটোরিকশা চালকরা নিজেদের অর্থায়নে কিছুটা ইট বালু দিয়ে চলার মত পরিবেশ করেছে কিন্তু মিলছে না কোন সরকারি অর্থ। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে এই সমস্ত অঞ্চলের মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই।মুচির পোল হইতে ভূঁইয়া বাড়ির দরজায় হয়ে নতুন বাজার পর্যন্ত, নতুন বাজার থেকে ফাঁসী বাড়ির দরজা হয়ে বোরহানগঞ্জ বাজার পর্যন্ত, হাসপাতালের মোড় থেকে মাঝি বাড়ির দরজা হয়ে জনতা বাজার পর্যন্ত, সাতবাড়িয়া রুটের মাথা থেকে আনু হাজী বাড়ির দরজা পর্যন্ত, আনু হাজী বাড়ির দরজা হইতে পক্ষিয়া কমিউনিটি ক্লিনিক সেন্টারের সামনে দিয়ে মাদ্রাসা মোড় পর্যন্ত, মিজী বাড়ির মোড় থেকে সরদার বাড়ীর সামনে দিয়ে ভূঁইয়া মিল ঘর পর্যন্ত, এবং রানীগঞ্জ হইতে বোরহানগঞ্জ পর্যন্ত। উক্ত রাস্তার মধ্যে কিছু কিছু পাকা রাস্তা আছে যা কাঁচা রাস্তার চেয়েও খারাপ। রাস্তা গুলো বর্তমানে চলাচলের অনুপোযোগী বললেই চলে। প্রতি নিহত ধুলাবালির কারণে মানুষের বিভিন্ন রোগ ব্যাধি সৃষ্টি হচ্ছে এবং পরিবেশ ভারসাম্য হারাচ্ছে। আমার দেখা মতে পক্ষিয়া ৭ নং ওয়ার্ডের শেষ ভাগে অবস্থিত সমির উদ্দিন মৌলভী বাড়ির এক বৃদ্ধ অসুস্থ অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর কাছে এম্বুলেন্স চাইলে যথারীতি অ্যাম্বুলেন্স আসতে অনেক সময় লেগেছে এবং অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার আমার সামনে কানে ধরে বলেছে এই এলাকায় সে আর কখনো আসবে না। অতএব বুঝতে বাকি নেই এ সমস্ত অঞ্চলে রাস্তাঘাট গুলোর কি করুণ পরিণতি। পক্ষিয়ার এই উত্তর-পূর্বাঞ্চলে রয়েছে একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভূঁইয়াবাড়ি সেকেন্ডারি স্কুল, উত্তর পক্ষিয়া দাখিল মাদ্রাসা, ৪৭ নং প্রাথমিক বিদ্যালয়,৪৬ নং প্রাথমিক বিদ্যালয়, মধ্য পক্ষিয়া দাখিল মাদ্রাসা,এবং বোরহানউদ্দিন উপজেলার একাধিক বিশিষ্ট বাড়ি। অতীব দুঃখের বিষয় এই সমস্ত অঞ্চলের ডেলিভারি সমস্যার জন্য মা কে যথাসময়ে হসপিটালে পৌঁছানো সম্ভব নয়। অত্র বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য জনাব আলহাজ্ব আলী আজম মুকুল এমপি মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আশা করি তিনি বিষয়টি আমলে নেবেন।