দৌলতখানে সৎ মা কর্তৃক মেয়েকে ভাতের সাথে কাচের টুকরা খাইয়ে হত্যার চেষ্টা; থানায় মামলা !

দৌলতখান প্রতিনিধি ॥  ভোলার দৌলতখান উপজেলার ৫ নং ওয়ার্ডে মাতাব্বর বাড়ীর সফুউল্লা ৪ নাম্বার স্ত্রী মিনারা বেগম কর্তৃক তার সতীনের মেয়েকে কাচের বোতলের গুড়া খাবারের সাথে খাইয়ে ও বালিশ চাপায় হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরেজমিন জানা যায়, সফুউল্লার ৪ নং স্ত্রী মিনারা বেগমকে বিবাহ করে আনার পর থেকেই সফুউল্লার পূর্বের স্ত্রীর দুই মেয়েকে শারীরিক মানসিক নানান অত্যাচার করে আসছে।বড় মেয়ে সাদিয়ার বিবাহ হয়ে গেলে অত্যাচার শুরু হয় অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী ১২ বছরের সামিয়ার উপর। অত্যাচারের মাত্রা এতটাই প্রকট হয় যে গতকাল শুক্রবার দুপুরে সামিয়ার খাবারের সাথে কাচের বোতল ভেঙ্গে গুড়া করে মিসিয়ে দেয়। সামিয়ার মুখে বাধলে সে তার বাবাকে বললে সে ভাত গুলো বাথরুমে ফেলে দেয়। বিষয়টি কারো কাছে না বলার জন্য বাবা সামিয়াকে শাসায়। কিন্তু সামিয়া তার চাচা চাচিদের বিষয়টি জানিয়ে দেয় । তার যের ধরে সামিয়ার সত মা মিনারা বেগম গত শুক্রবার বিকালে সামিয়াকে এলোপাতারি মারধর করে এবং এক পর্যায়ে বালিশ চাপা দেয় মেরে ফেলার জন্য।সামিয়ার ছটপট আর গোঙ্গানির শব্দে বাড়ির অন্যান্য লোকজন এসে সামিয়াকে উদ্ধার করে দৌলতখান হাসপাতালে ভর্তি করে। এ বিষয়ে দৌলতখান থানার ওসি বজলার রহমান জানান, বিষয়টি আমি জেনেছি সামিয়ার চাচা থানায় অভিযোগ দিয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।