23 March 2020 , 6:24:38 প্রিন্ট সংস্করণ
তুহিন খন্দকার,
দৈনিক ভোলাটাইমস:: ভোলা বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া চকডোস ৭ নং ওয়ার্ডের মৃত মোস্তফার ছেলে জ্বীনের বাদশা ও ইয়াবা সম্রাট ইউসুফের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। খাদিজা বেগম জানান, ইসলামি শরীয়া মোতাবেক ইউসুফের সাথে দীর্ঘ ১২ বছর পুর্বে আমার বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকেই ইউসুফ ইয়াবা সেবন করে সারারাত জিনের ব্যবসা করে কারনে অকারনে আমাকে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করেন। ব্যবসা করার কারণে কয়েকবার তাকে পুলিশ গ্রেপ্তারও করেছিল। ভবিষ্যতে সে ভাল হয়ে যাবে এ আশায় আমি তার সকল অন্যায় অত্যাচার সইতে থাকি ও তার সংসার করে আসছি এবং তিনটি সন্তানের মা হয়েছি। এখন দেখি আমার স্বামী ইউসুফ ভালতো হলোই না বরং আগের থেকে অনেকটা খারাপ হয়েগেছে। বোরহানউদ্দিন হাসপাতালের বেডে শুয়ে এভাবেই ঘটনার বর্ণনা দেন ইউসুফের নির্যাতনের শিকার খাদিজা। তার চোখে মুখে এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে ক্ষতচিহ্ন। জিনের বাদশা ইউসুফের বিকৃত যৌনাচারে বাধ্য না হওয়ায় প্রায়ই এভাবে নির্যাতনের শিকার হতে হয় এই গৃহিণীকে। গত ১৮/৩/২০ ইং তারিখ রাত ৩ টার সময় সে আমার উপর অমানুষিক নির্যাতন করেন। একপর্যায়ে সে আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিল, আমার চিৎকারের শব্দ শুনে তার ছোট বোন নুরনাহার ও আমার শাশুড়ি এসে আর নির্মম অত্যাচারের হাত থেকে কোনরকম আমাকে বাঁচায়। পরের দিন সকালে আমি আমার কাচিয়া ৪নং ওয়ার্ডের বাপের বাড়িতে চলে আসিলে আমার শারীরিক অবস্থা খারাপ দেখে আমাকে বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খাদিজা আরো জানান,আমার স্বামী ইউসুফের মূল পেশা হয়েছে মানুষকে প্রতারণা করে জিনের নামে টাকা হাতিয়ে নেয়। গভীর রাতে জ্বীনের বাদশা পরিচয় দিয়ে মানুষের কাছ থেকে ফোন করে প্রতারণার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় সে। নেশা আসক্ত হয়, ইয়াবা ট্যাবলেট সে নিজেই সেবন করেন এবং ব্যবসা করেন। এলাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন এসে তার কাছ থেকে ওই ট্যাবলেট ইয়াবা সংগ্রহ করেন। আমার স্বামী ইউসুফ প্রতিদিন ইয়াবা সেবন করে আমার সাথে বিকৃত যৌনাচারে লিপ্ত হয়। আমাকে ইয়াবা ট্যাবলেট সেবন করতে বলে, আমি তার কথায় রাজিনা হলে সে আমাকে প্রায়ই মারধর করতে থাকে। গত ১৮/৩/২০ ইং তারিখ রাত ৩ টার সময় সে আমার উপর অমানুষিক নির্যাতন করেন। একপর্যায়ে সে আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিল, আমার চিৎকারের শব্দ শুনে তার ছোট বোন নুরনাহার ও আমার শাশুড়ি এসে আর নির্মম অত্যাচারের হাত থেকে কোনরকম আমাকে বাঁচায়। পরের দিন সকালে আমি আমার কাচিয়া ৪নং ওয়ার্ডের বাপের বাড়িতে চলে আসিলে আমার শারীরিক অবস্থা খারাপ দেখে আমাকে বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এব্যাপারে জ্বীনের বাদশা ইয়াবা সম্রাট ইউসুফ এর বক্তব্য জানতে গিয়ে এলাকায় তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে তার মুঠোফোনে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বিষয়টি সামান্য বলে ফোনের লাইন কেটে দেয়। তবে তার ছোট বোন নুরনাহার ও তার মা বলেন ইউসুফ মানুষ হিসাবে অনেক খারাপ সে খারাপ বলে তার সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই। সময় অসময় মেয়েটিকে ইউসুফ অমানুষিক নির্যাতন করে থাকেন। এলাকাবাসী জানান,জ্বীনের বাদশাহ ও মাদকের ব্যবসা করে ইউসুফ অর্ধকোটি টাকার মালিক হয়েছে। তার পরিবারের অনেকেই এই জিনের ব্যবসার সাথে জড়িত। মাঝেমধ্যেই তাদের বাসায় অচেনা বিভিন্ন লোকজন আসা যাওয়া করতে দেখা যায়। ইউসুফের হাত নাকি অনেক লম্বা সেজন্য স্থানীয়রা তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায় না। এজন্য সে কাউকে মানতে রাজি নয়। এমনকি তার মায়ের সাথেও প্রায় সময় খারাপ ব্যবহার করে থাকেন। ভুক্তভোগী খাদিজা বেগম, তার স্বামী ইউসুফ এর ত্যাচারের হাত থেকে বাঁচার ও তিনটি সন্তান নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকার জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।