23 March 2020 , 10:28:07 প্রিন্ট সংস্করণ
ইলিশা প্রতিনিধি,
দৈনিক ভোলাটাইমস্: : ভোলা সদর উপজেলা ৩ নং পশ্চিম ইলিশা বাঘারহাট সংলগ্ন জমি জমা কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ আহত ১১ জন ঘটনা সূত্রে জানা যায় বিগত দিন যাবত দুই পক্ষের ভিতরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।
মোঃ মুসলেউদ্দিন মহড়ী (৪৫ ) পিতা মৃত আজমত আলী জানান। হানিফ গংদের সাথে বিগত দিন যাবত আমাদের জমি নিয়ে সালিশ বিচার লেগেই আছে আমরা এ জমিতে অনেক বছর পর্যন্ত একটি ঘর করে থাকতে আছি কিন্তু ইদানিং হানিফ গংরা আমাদেরকে বিভিন্ন রকম হুমকি দিয়ে আসছে বলতেছে এই জমিতে আমাদের ও বাঘ আছে কিছুদিন আগে বিচার সালিশ করে স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ ও মেম্বার চেয়ারম্যান সহকারে আমাদের জমি মেপে সীমানা করে দিয়েছে।
আমাদের জায়গায় আমাদের ঘর আছে কিন্তু আমাদের ঘরের পাশে হানিফ গংরা আরেকটি ঘর তুলেছে তারা এখন আমাদের যে ভোগ দখলীয় জমির সেটাও দখল করতে চাচ্ছে আমরা তাতে বাধা দেওয়ায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে মোহাম্মদ হানিফ মোহাম্মদ মুসলেউদ্দিন নাসির আহমেদ বশির আহমেদ সহ তাদের আরও ভারাটিয়া গুন্ডা বাহিনী নিয়ে আমাদেরকে মারধোর করে এ জমি ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য চেষ্টা করে।
এই বিষয়ে হানিফ গংদের সাথে কথা বললে তার এক ছেলে জানান না এসব কথা সব মিথ্যে কারণ অনেক আগেই মোসলেউদ্ গংদের সাথে আমাদের জমি অদল বদল করা হয়েছে ।
আমরা বাড়ি থেকে তাদেরকে জমি ছেড়ে দিয়েছি সে পরিবর্তে আমাদেরকে এখান থেকে এ জমি দিয়েছে আর এই জমিতে আমাদের ঘর আরো দুই বছর আগে এখানে তুলেছি এখন ওরা নতুন করে একটা নাটক সাজাচ্ছে। জমি ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য আসলেই এ বিষয়টা রহস্যজনক মনে হয় তাদের জনবল আছে বিদায় তারা আমাদের সাথে এরকম করতে পারছে। তাদের অনেক ক্ষমতা আছে কিছু হলেই ভূটু আলতাফ ইউসুফে ভূমিদস্যুদের নেতৃত্বে আমাদের পুরাতন ঘরট ভেঙ্গে দেয় আমরা বাধা দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বোনকে বাবাকে বোনের জামাইকে এমনভাবে মেরে জখম করেছে তাদের অবস্থা খুব আশঙ্কাজনক আমরা এর সঠিক বিচার চাই।
স্থানীয় এক সালিশদার নূরনবী মাস্টার জানান এ জমি নিয়ে মামলা মোকদ্দমা ছিল কিন্তু সেটা সমাধান করে জমির মাপ যোগ করে দিয়েছি । আজকে আবার সে জমি নিয়েই মারপিটের ঘটনা ঘটে।
ভোলা সদর মডেল থানারএস আই আলিউদ্দিন জান অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমি ঘটনাস্থলে যাই ঘটনাস্থলে যাইয়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে আহতদের কে উদ্ধার করে দ্রুত চিকিৎসার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠায়।
এই বিষয়ে স্থানীয় ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার সেলিম হাওলাদার এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান খবর পাওয়ার সাথে সাথে আমি সেখানে চোকিদার পাঠিয়ে উভয়পক্ষকে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করি।