23 March 2020 , 11:21:32 প্রিন্ট সংস্করণ
সীমান্ত হেলাল, মনপুরা প্রতিনিধি ॥
দৈনিক ভোলাটাইমস্: : ভোলার মনপুরায় দেড় লক্ষ মানুষের স্বাস্থ্য সেবার জন্য রয়েছে একটিমাত্র হাসপাতাল।উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হলেও প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় নেই কোন উপকরণ। এমনকি কর্মরত চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্য মাস্ক, গাউন ও হ্যান্ডগ্লোবস (পিপিই) নেই। ভয়ে ভয়ে রোগিদের চিকিসা দিচ্ছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সরা।
এদিকে হাসপাতালে আসা রোগিদের সুরক্ষার জন্য পানি ও সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা নেই। এছাড়াও রোগিদের হাতে জীবাণুনাশক স্প্রে করার ব্যবস্থা নেই। এতে যে কোন সময় করোনা আক্রান্ত রোগির সংর্স্পশে ডাক্তার-নার্স ও সেবা নিতে আসা রোগীদের মধ্যে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পরার আশংকায় আতঙ্কিত রয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক ও স্থানীয়রা।পানি সংকটের কারনে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়নি ও জীবানুনাশক স্প্রে নেই বলে স্বীকার করেছেন মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মাহমুদুর রশীদ।জানা যায়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসিও বেড, ভেন্টিলেটর ও পরীক্ষাগার নেই। নামমাত্র ৩ বেডের একটি আইসোলেশন ওয়ার্ড করা হয়েছে। ওই আইসোলেশন কক্ষে তিনটি বেড ছাড়া কিছুই নেই কর্তব্যরত চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্য কর্মীদের পিপিই নেই। এছাড়াও করোনা মোকাবেলার উপকরণ নেই। এখন পর্যন্ত করোনা পরীক্ষা করার কোন কীট হাসপাতালে আসেনি।এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মাহমুদুর রশীদ জানান, করোনা মোকাবেলার উপকরণ দ্রুত পেয়ে যাবো। চাহিদা পাঠানো হয়েছে। করোনা রোগিদের জন্য একটি আইসোলেশন কক্ষ প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়াও প্রতিদিন বাজারে বাজারে জনসাধারনের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টিতে মাইকিং করা হচ্ছে।