27 March 2020 , 9:29:49 প্রিন্ট সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার।।
দৈনিক ভোলাটাইমস্ : : বোরহানউদ্দীন কাচিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রব কাজীর ছত্রছায়ায় তার জামাই লিটনের অপকর্ম ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। সংখ্যা লঘু পরিবারের জমি দখলে নিতে জামাই শশুর মিলে নানা ফন্দি-ফিকির শুরু করেছে, স্থানীয় বাসিন্দা রমেন্দ্র নারায়নের মৃত্যুর পর তারা ছেলেরা বিভিন্ন খতিয়ানে পৈতৃক সূত্রে জমির মালিক হন। ওই জমির ৬৭৬ নং খতিয়ান ভূক্ত ২০১১ ও ২১১৬ নং দাগের ৪ একর ৬৯ শতাংশ জমি আব্দুর রব কাজীর অপর জামাতা জসিম সহ অন্যান্য কতেক ব্যক্তির কাছে রমেন্দ্র নারায়নের চাচাত ভাই ক্ষিতিষচন্দ্র পলাশ চন্দ্র ভূপতি ভূষণ কল্যান দে এবং উষা রঞ্জন বিক্রি করেন। এর মধ্যে জামাই জসিম ১ একর ২৬ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। অনুসন্ধানে জানা গেছে উক্ত ৪ জন তাদের অন্যান্য শরীক গনকে অন্য খতিয়ানে জমি বুঝিয়ে দিয়ে রমেন্দ্র নরায়ন গংদের জমি সমূহ বিক্রি করে হাল জরিপে সম বন্টন করেছেন। কিন্তু রমেন্দ্র নারায়ন ভাইদের মৃত্যুর পর তার ভাতিজা বিকাশ চন্দ্র দে হেলু , হিমাদ্রি শেখর দে তুষার, সীমান্ত আশিষ দে বাবু এবং চাচাত ভাই ভূপতি ভূষণ কল্যান দে জাল জালিয়াতির মাধ্যেমে রমেন্দ্র নারায়নের ভোগদখলীয় জমি হতে ৩২ শতাংশ চেয়ারম্যানের জামাতা লিটনকে বিক্রির পায়তারা শুরু করেন। এসব অসৎ কিছু ওয়ারিশদের যোগ সাজশে চেয়ারম্যানের জামাতা লিটন ভাড়াটিয়া ক্যাডার নিয়ে সংখ্যালঘু পরিবারের ওই জমি দখলের নানা ফন্দি-ফিকির শুরু কনেছেন। রমেন্দ্র নারায়ন পুত্র চিম্ময় দে অভিযোগ করেন। কাচিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রব কাজীর সেল্টারে, জামাই লিটন সংখ্যালঘু পরিবারের জমি নিজেদের করে নিতে অন্যান্য ওয়ারিশগনকে নানাভাবে হুমকি ধমকি অব্যহত রেখেছেন। বিষয়টির সমাধানের জন্য রমেন্দ্র নারায়নের সন্তানেরা একাধিকবার ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রব কাজীর কাছে ফরিয়াদ করে ও কোন প্রকার ফল মেলেনি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না করে স্থানীয় চেয়ারম্যান আব্দুর রব কাজী উল্টো তার জামাইও নিজেদের গুন্ডা বাহিনীকে সংখ্যা লঘু পারিবারের উপর লেলিয়ে দিয়েছেন। নিরূপায় হয়ে ওই পরিবারের সদস্য চিম্ময় দে নিরাপত্তা ও আইনী সহযোগিতা পেতে বোরহানউদ্দীন থানায় জিডি দায়ের করেন। বিষয়টি অবগত হয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চেয়ারম্যান বাহিনীর দস্যু বৃত্তির পায়তারা বন্ধ করে দেন। বোরহানউদ্দীন থানার ওসি এনামুল হক জানান, বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করছেন। অন্যায় ভাবে সংখ্যা লঘুর জমি কাউকে দখল করতে দেয়া হবে না বলেও জানান তিনি। বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চেয়ারম্যান আব্দুর রব কাজী ও তার জামাতা লিটনের মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগের চেস্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে বিষয়টি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাদের সাথে যোগাযোগ করে শুক্রবার সন্ধ্যার পরে উভয়পক্ষকে বোরহানউদ্দিন থানায় কাগজপত্র নিয়ে উপস্থিত থাকতে বলা হলেও দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে তা স্থগিত করা হয়, অ্যাডভোকেট চিম্ময় এর পক্ষ থেকে ওসি এনামুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন দেশের পরিস্থিতি এখন ভালো না পরবর্তীতে তারিখ ঠিক করে জানিয়ে দেওয়া হবে, তবে এলাকাবাসী চেয়ারম্যান আব্দুর রব কাজী ও তার জামাতা লিটনের অপকর্মও দস্যু বৃত্তির নানা ফিরিস্তি তুলে ধরেছেন সাংবাদিকদের কাছে । তাদের দূর্বৃত্তায়নের বিস্তারিত তুলে ধরা হবে গন-মাধ্যমে। চোখ রাখুন———-।