বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উপহার হিসেবে ঘর পাচ্ছেন ভোলার ৫২০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। এর মধ্যে ভোলা সদর উপজেলায় ১৮২টি, দৌলতখান উপজেলায় ৪২টি, বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ২৮টি, লালমোহন উপজেলায় ২০টি, তজুমদ্দিন উপজেলায় ১৮টি, চরফ্যাশন উপজেলায় ৩০টি ও মনপুরা উপজেলায় ২০০টি পরিবার পাচ্ছে ঘর।
রোববার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার জন্য ঘর নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে গিয়ে ভোলা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আগামী ২৩ জানুয়ারি ভার্চ্যুয়াল মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও ঘর হস্তান্তর কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে দ্রুত গতিতে চলছে ঘর নির্মাণের কাজ। ঘর পওয়ায় খুসিতে আত্তহারা হয়ে জাহানারা বেগম (৬৫) বলেন, স্বামী মারা যাওয়ার পরে পাঁচ সন্তান নিয়ে ঠাঁই ছিলো অন্যের জমিতে। শ্রমিক সন্তনরা সংসার চালানোর তেমন কোনো সামর্থ্য নেই। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাকা বাড়ি ও জমি পেয়ে আমি ও আমার সন্তানরা অনেক খুশি। জাহানারা বেগমের মতো ভোলার ৫২০টি অসহায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উপহার পেয়ে আনন্দিত তারা।
মাথা গোঁজার স্থায়ী আবাসন পেয়ে দারুণ খুশি ভূমিহীন হতদরিদ্র্য সুবিধাভোগী পরিবারগুলো। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনায় সারাদেশের মতো ভোলায় খাস জমি খুঁজে কাজটি বাস্তবায়ন করছে উপজেলা প্রশাসন। এই কাজের নিয়মিত তদারকি করছেন জেলা প্রশাসন। ভোলা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিজানুর রহমান বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভোলা সদর উপজেলায় ১৮২টি ঘর প্রথম ধাপে অনুমোদন দিয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ না করে নিজেরাই এসব নির্মাণ করা হচ্ছে।
স্বচ্ছভাবে ঘরগুলো গুণগত মান ধরে রাখার জন্য সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মাঠপর্যায়ে জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় তদারকি করা হচ্ছে। যাতে যারা এখানে থাকবে, তাদের কোনো অসুবিধা না হয়। এব্যপারে জেলা প্রশাসক মো. মাসুদ আলম ছিদ্দিক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন, মুজিববর্ষে কেউ গৃহহীন থাকবে না। এ লক্ষ্যেই ভোলায় সরকারি খাস জমির ওপর ভূমিহীনদের জন্য ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে । প্রতিটি ঘরের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। এখানে মাথা গোঁজার ঠাঁই পাবে প্রায় ৫২টি পরিবার।
যাদের কোনো ঘর ও জমি নেই। তাদের এখানে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, স্বামী পরিত্যক্তা ও প্রতিবন্ধীদের। প্রত্যেক পরিবারকে দুই একর জমির মালিকানাসহ লিখে দেওয়া হচ্ছে দুই কক্ষের একটি বসতঘর। তার সঙ্গে থাকছে রান্নাঘর, বাথরুম ও সামনে খোলা বারান্দা।
Leave a Reply