দৈনিক ভোলা টাইমস্ ঃঃ “আমি চিৎকার করিয়া কাঁদিতে চাহিয়া করিতে পারিনি চিৎকার” মানুষ কতটা নিচে নামলে এমন জঘন্য কাজ করতে পারে যে সাত বছরের শিশুকন্যাও তার লালসার শিকার হতে পারে। ভোলা সদর উপজেলা পূর্ব ইলিশা ৯ নং ওয়ার্ড গুপ্ত মুন্সি নামক এলাকা করিম আলী শিকদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষিতার পরিবারের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়। মৃত শামসুদ্দিন শিকদারের শিশু শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়ে লামিয়া (৭) গত ২২/২/২০২১ ইং সোমবার দুপুরে বাড়ির পাশবর্তী বিলে তাদের গৃহপালিত পশু (ছাগল) আনতে গেলে একই বাড়ির মৃত মুসলেউদ্দিন ফরাজীর ছেলে বিল্লাল (২৩) ওই মেয়ের পিছনে পিছনে যায় এবং দুপুরবেলা বিলে কোন লোকজন না থাকায় শিশু মেয়েটিকে মুখ চেপে গম ক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করলে শিশু মেয়েটি চিৎকার করে উঠলে ধর্ষক বিল্লাল আরো জোরে শিশু মেয়েটির মুখ ও পা চেপে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করে। ধর্ষিতার মা কমলা বেগম জানান আমার ৭ বছরের শিশু মেয়েকে আমি দুপুরের সময় ছাগল আনতে বিলে পাঠিয়েছি লম্পট বিল্লাল আমার শিশুমেয়ে কে জোর করে ধরে গম ক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করলে আমার মেয়ের চিৎকারে বাড়ির লোকজন ছুটে আসলে লম্পট বিল্লাল ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
এলাকার লোকজন আমার শিশু কন্যাকে অজ্ঞান অবস্থায় বাড়িতে নিয়ে আসে এবং জরুরী সেবা ৯৯৯ ফোন দিয়ে বিষয়টি থানায় জানালে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ চলে আসেন। এলাকাবাসী জানান মৃত মোসলে উদ্দিন ফরাজির ছেলে লম্পট বিল্লাল শুধু অপকর্মই নয় ছোট ছোট মেয়েদেরকে উত্ত্যক্ত সহ ইয়াবা ট্যাবলেট গাঁজা সেবন ও বিক্রি থেকে শুরু করে এমন কোন অপকর্ম নেই যে লম্পট বিল্লাল করেনা। গত প্রায় দেড় মাস আগে ভোলার লক্ষ্মীপুরে কাজ করতে গিয়ে গরুকে বলাৎকার করে এলাকাবাসীর লম্পট বিল্লালকে করে ফেলা এবং মারধর করেন। মার খেয়ে পালিয়ে আসেন লম্পট বিল্লাল । এ বিষয়ে ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনায়েত হোসেন জানান মামলার প্রস্তুতি চলছে এবং অতি দ্রুত আসামি গ্রেপ্তার করা হবে।
Leave a Reply