23 April 2020 , 1:04:33 প্রিন্ট সংস্করণ
দৈনিক ভোলাটাইমস্ঃঃকরোনা পরিস্থিতিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সম্মুখযুদ্ধে থেকে মানুষের সুরক্ষায় কাজ করছেন পুলিশ সদস্যরা। চাহিদার তুলনায় সুরক্ষা সরঞ্জাম কম থাকলেও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে হাঁসিমুখে কাজ করছেন তারা। মরণঘাতি এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) পর্যন্ত সারাদেশে ২১৮ জন সদস্য (কনস্টেবল থেকে কর্মকর্তা) আক্রান্ত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ সদরদপ্তর থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা মোকাবিলায় পুলিশের দুই লাখ সদস্য সরাসরি মাঠে কাজ করছেন। তাদেরকে যথাসম্ভব সুরক্ষা সামগ্রী সরবরাহ করা হয়েছে। এখনও অনেক চাহিদা রয়েছে, যা পূরণে কাজ করছে সদরদপ্তর। কিন্তু আমাদের দেশপ্রেমিক সদস্যরা নিজেদের পূর্ণাঙ্গ সুরক্ষার জন্য অপেক্ষা করছে না কিংবা বসে থাকছেন না। সাধারণ মানুষের সুরক্ষার জন্য তারা সবকিছু করছেন। বিশেষ করে সমাবেশ ও লোকসমাগমে আইনি ব্যবস্থা, অপরাধ দমন, আসামি গ্রেপ্তার ও আদালতে পাঠানো, খাদ্য, ওষুধ ও অন্যান্য জরুরি সেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে নিরাপত্তা দেয়া, দ্রব্য সামগ্রীর মূল্য নিয়ন্ত্রণ, মজুতদারি ও কালো বাজারি রোধ, সরকারি ত্রাণ ও টিসিবির পণ্য বিতরণে অনিয়মের ক্ষেত্রে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে।
এছাড়া সামাজিক দূরত্ব বাস্তবায়ন, খোলা স্থানে বাজার স্থানান্তর, বাড়ি বাড়ি নিজস্ব উদ্যোগে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেয়া, কৃষি ও অর্থনীতি সচল রাখতে বিভিন্ন স্থানে ধান কাটার শ্রমিক পাঠানো, অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে পৌঁছে দেয়া, চিকিৎসা পেতে সহযোগিতা করা, প্রিয়জন পরিত্যক্ত ও পথের পাশে পড়ে থাকা মৃতব্যক্তিকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সৎকারের মতো মহৎ কাজ করে যাচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পুলিশ সদস্যরা মানুষকে সুরক্ষা দিতে জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছে। করোনা বিস্তার রোধে তাদেরকে মানুষের খুব কাছে যেতে হচ্ছে। তাই নিজের অজান্তেই অনেক সদস্য করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। দেশে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে আজ (২৩ এপ্রিল) পর্যন্ত সারাদেশে ২১৮ জন সদস্য (কনস্টেবল থেকে কর্মকর্তা) আক্রান্ত হয়েছেন। কোয়ারেনটাইনে আছেন ৬৫২ জন। আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পর্যাপ্ত আয়োজন রাখা হয়েছে। তাছাড়া পুলিশের হাসপাতালগুলোতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
এছাড়া বাহিনী প্রধান ড. বেনজীর আহমেদ ব্যক্তিগতভাবে তাদের খোঁজ খবর এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিচ্ছেন। নিয়মিত আক্রান্ত সদস্যদের পরিবারের খোঁজখবর নেয়ার জন্যও তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন।