দৈনিক ভোলা টাইমস্ঃঃ ভ্যাকসিনের সরবরাহ না থাকায়ভোলায় দ্বিতীয় ডোজের টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ভোলায় আজ থেকে করোনারদ্বিতীয় ডোজের টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, সরবরাহ স্বাভাবিকহলে আবার টিকা দেয়ার কার্যক্রম শুরু হবে। সোমবার সকাল ১০টা থেকে শহরের সদর হাসপাতালকেন্দ্রে উপস্থিত হন প্রথম ডোজ টিকা গ্রহণকারীরা। কিন্তু, টিকা প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের কাউকেসেখানে না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পরেন টিকা নিতে আসা ব্যক্তিরা। এ সময় টিকা নিতে আসাসাইফুল ইসলাম, মোঃ নুরুল ইসলাম, মোঃ ইব্রাহীম ও লক্ষন সাহা জানান, তারা প্রথম ডোজটিকা নিয়েছেন, কিন্তু দ্বিতীয় ডোজের সময় অতিবাহিত হলেও টিকার জন্য এসএমএস না পেয়েকেন্দ্রে খোঁজ নিতে আসেন। এসে জানতে পারেন বরাদ্দকৃত টিকা শেষ হয়ে যাওয়ায় টিকাদান বন্ধরয়েছে। এ সময় যত দ্রুত সম্ভব টিকার দ্বিতীয় ডোজের ব্যবস্থা করতে সরকারের প্রতি অনুরোধজানান তারা। সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, রবিবার সদরহাসপাতাল কেন্দ্রে টিকা দেয়া হয়েছে। আজ সোমবার সরবরাহ না থাকায় টিকা দেয়া যায়নি।সরবরাহ পেলে আবার টিকা দেয়া হবে বলে জানান তিনি। সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়,জেলায় ৩ দফায় মোট ৯২ হাজার ২০০ ডোজ টিকা আসে। প্রথম দফায় ৬০ হাজার টিকাএসেছিলো, সেখান থেকে ফেরত দেয়া হয়েছিলো ১৫ হাজার ৭০০ ডোজ। এছাড়া দুই দফায় টিকানষ্ট হয়েছে ৩ হাজার ৬০ ডোজ । সে হিসেবে এ পর্যন্ত জেলায় টিকা দেয়া হয়েছে ৭৩ হাজার ৪৪১জনকে। দ্বিতীয় দফা ভোলায় জন্য ৩২ হাজার ২০০ দ্বিতীয় ডোজ টিকা বরাদ্দ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।এর মধ্যে ভোলা সদর উপজেলার জন্য বরাদ্দ ছিল ৮ হাজার, টিকা দেয়া হয়েছে ৭ হাজার ১৪৫ডোজ। দৌলতখান উপজেলার বরাদ্দ ছিল ৩ হাজার ৬০০, টিকা দেয়া হয়েছে ৩ হাজার ২০টি।বোরহানউদ্দিন উপজেলায় বরাদ্দ ছিল ৫ হাজার ৬০০, টিকা দেয়া হয়েছে ৫ হাজার ৩৩। তজুমদ্দিনেবরাদ্দ ছিল ২ হাজার ৫০০, টিকা দেয়া হয়েছে ২ হাজার ৩৮৭। লালমোহনে বরাদ্দ ছিল ৫ হাজার৫০০, দেয়া হয়েছে ৪ হাজার ৬১৩, চরফ্যাশনে বরাদ্দ ছিল ৫ হাজার, টিকা দেয়া হয়েছে ৪ হাজার৭৫৬ ও মনপুরায় বরাদ্দ ছিল ২ হাজার, টিকা দেয়া হয়েছে ১ হাজার ৬৭০ ডোজ। জেলা স্বাস্থ্যবিভাগের তথ্য অনুযায়ী, টিকা শেষ হয়ে যাওয়ায় জেলার সাত উপজেলার ৭টি টিকা কেন্দ্রের মধ্যমনপুরা ও দৌলতখান বাদে বাকি ৫ টি উপজেলায় টিকা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। ওই দুটিকেন্দ্রেও দুই এক দিনের মধ্যে টিকা শেষ হয়ে যাবে বলে জানায় সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র। ভোলায়গত ৮ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ২৪ মে পর্যন্ত ২৮ হাজার ৬৪৪ জনকে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেয়াহয়েছে। এর মধ্যে ১৯ হাজার ৭২১ জন পুরুষ ও ৮ হাজার ৯০৩ জন নারী টিকা নিয়েছেন।