চরফ্যাশনের পথে হাটছে তজুমদ্দিন, ঠিকাদারের কাছে চাঁদা দাবী,উন্নয়নের কাজে ব্যাঘাত

স্টাফ রিপোর্টার,

দৈনিক ভোলাটাইমস::ভোলায় ঠিকাদারদের মধ্যে ফের অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। ঠিকাদার থেকে কমিশন বাণিজ্যে চরফ্যাশনের মতো একই পথে হাটছে তজুমদ্দিন, ঠিকাদারী কাছের অনিয়ম ইস্যু দেখিয়ে ঠিকাদারের কাছে বিভিন্ন মারফতে স্থানীয় এমপি নুরনবী চৌধুরী শাওন এর নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদা দাবী করছে স্থানীয় কয়েকজন সন্ত্রাসী, তাদেরকে চাঁদা না দিলে ঢালাইয়ের সাথে পিশিয়ে দেওয়া হবে ঠিকাদারকে। ফেজবুকে এমন স্টেটার্স দিয়েও হুমকি ধমকি দেওয়া হচ্ছে। এতে ব্যাঘাত ঘটছে তজুমদ্দিনের উন্নয়ন কাজ।
বঞ্চিত হচ্ছে তজুমদ্দিনবাসী।

ঠিকাদার মোরশেদ আলম চাঁন জানায়, ভোলার তজুমুদ্দিন চাঁদপুর ইউনিয়নের ঠাকুর বাজার নামক এলাকায় টেন্ডারের মাধ্যমে এলজিইডি’র আওতাধীন ১৫ মিটার একটি আর সিসি গার্ডার ব্রিজ এর নির্মান কাজ শুরু করেন । গত কয়েকদিন যাবত স্থানীয় সন্ত্রাসী সুমন বিএনপি জামাতের দোসর নব্য আওয়ামী লীগ স্থানীয় মেম্বারকে দিয়ে ব্রীজ নির্মান কাজের জন্য তার কাছে বিশলাখ টাকা চাঁদা দাবী করেন। তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে উক্ত সুমন তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে ব্রীজ নির্মান কাজ বন্ধ করে দেয়া সহ ঠিকাদার মোরশেদ আলম চাঁন কে দেখিয়া দেবার হুমকি দিয়েছেন।
সিরাজ মেম্বারের দাবীকৃত চাঁদার টাকা পরিশোধ না করলে ব্রীজ নির্মান এর কাজ তো দূরের কথা পরবর্তিতে ব্রিজের কোন ধরনের কাজ করতে দেয়া হবে না বলে হুমকি দিয়েছেন চাঁদাবাজ হেলাল উদ্দিন, সুমন ও মেম্বার সিরাজ। হেলাল উদ্দিন সুমন এর সাথে জোট বেঁধে যুবদলের সাবেক ক্যাডার এবং নব্য আওয়ামী লীগ ইউপি মেম্বর সিরাজ এসব কাজ করছে বলে জানিয়েছেন ঠিকাদার চাঁন।

তিনি আরো জানান, বিশলাখ টাকা চাঁদা দাবী ও জীবন নাশের হুমকি দেয়ায় ঠিকাদার মোরশেদ আলম চান বর্তমানে চরম আতংকে আছেন। চাঁদার টাকা না পাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ষড়যন্ত্রের ফন্দি করছেন এবং নির্মান কাজে ব্যবহৃত মূল্যবান নির্মান সামগ্রী লুটপাট করার পাঁয়তারা করছেন সেই সন্ত্রাসী বাহিনী। কিছুদিন আগে স্থানীয় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের ছেলে মোঃ সোহাগ তার ফেসবুক আইডিতে হেলাল উদ্দিন সুমনের প্ররোচণায় ঠিকাদারের জীবননাশের হুমকি স্বরূপ একটি স্ট্যাটাস দেন।
সরজমিনে অনুসন্ধান কালে জানাযায়, সুমন ও সিরাজ মেম্বার সাংসদ নূরনবী চৌধুরি শাওন এর নাম ভাঙিয়ে এলাকার নীরিহ মানুষের উপর জুলুম নির্যাতন, চাঁদাবাজিসহ এমন কোনো অপকর্ম নেই যে তারা করেনা । এলাকায় কোন সরকারী কাজ শুরু হলে কথিত এই চাঁদাবাজ সুমন সিরাজ মেম্বারকে দিয়ে কাজে বাঁধা দিয়ে ঠিকাদার এর কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করেন। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে চাঁদাবাজ এই সুমন বিএনপি সরকার এর শাষন আমলে মেম্বর সিরাজ সহ তৎকালীন সাংসদ মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজ উদ্দিন এর মৌমাছি সদস্য হিসাবে মেঘনা নদীতে জেলেদের নৌকায় ডাকাতির মত জঘন্যতম ঘটনা ঘটাতো। আওয়ামিলীগ ক্ষমতা বলে বিএনপি এর নাম বদল করে সুমন ও মেম্বর সিরাজ ক্ষমতাসীন দলের নবজাতক সন্ত্রাস হিসাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছেন। তারা সরকারী প্রতিষ্ঠানের কোন কর্মকর্তা না হয়েও দেদারছে বিভিন্ন ঠিকাদারী কাজে গিয়ে বাঁধা সৃষ্টি করছে, কাজের মান দেখছে, যদিও এসব কাজের মান দেখার জন্য সংস্লিষ্ট অফিস বা কর্মকর্তা রয়েছে।
এদিকে ঠিকাদারের কাজে বাঁধা সৃষ্টি করায় চরফ্যাশনের পথে তজুমদ্দিন হাটছে বলে সমলোচনা করছেন সুশিল সমাজ। তারা মনে করছে এসব চাঁদাবাজি বন্ধ করে সরকারের উন্নয়নে স্থানীয়রা সহযোগিতা করে সমৃদ্ধ বাংলাদের গড়ায় সাহায্য করা উচিৎ।