25 April 2020 , 5:13:56 প্রিন্ট সংস্করণ
বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধি,
দৈনিক ভোলাটাইমস্::করোনা প্রতিরোধে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বোরহানগঞ্জ বাজার সহ ৩০টি বাড়ি লকডাউন করেছেন বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রন ও প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মোঃ বশির গাজী। এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নে জেলার প্রথম করোনা রোগী হিসেবে সনাক্ত হয় ৮ বছরের একটি কন্যা শিশু । এরপর শুক্রবার ও শনিবার ২দিনে ওই শিশুটির বাসস্থান কাচিয়া ইউনিয়নের বোরহানগঞ্জ বাজার সংলগ্ন গ্যাস ফিল্ড রোডের পন্ডিত বাড়ি,আশে পাশের ৫টি বাড়ি ,পাশবর্তী বোরহানগঞ্জ বাজার তার স্বজনদের বাড়ি সহ ৩০টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে । উপজেলা প্রশাসন, ভোলা নৌকন্ডিনজেন্ট ও থানা পুলিশ ওইসমস্ত বাড়িগুলো মনিটরিং করছেন। এদিকে করোনা আকান্ত শিশুটি বর্তমানে আইসোলেসনে আছেন বলে জানিয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ৷
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আদেশ সূত্রে জানা যায়,উপজেলার উল্লেখিত স্থানে করোনা আক্রান্ত রোগি সনাক্ত হওয়ায় সংক্রামক ,রোগ প্রতিরোধ ,নিয়ন্ত্রন ও নির্মূল আইন ২০১৮ এর ৬১নং আইনের-(১)(২)(৩)–ধারা মোতাবেক জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে ওই রোগির বাসস্থান পন্ডিতবাড়ি, পাশ্ববর্তী দত্তবাড়ি,কার্তিক বাবুর বাড়ি,দয়ারামের বাড়ি,শাহজাদা পাটোওয়ারির কলোনি,হরিপদ মাষ্টারের বাড়ি,বোরহানগঞ্জ বাজার এবং পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কিত্তনিয়া বাড়ি,হাওলাদার বাড়ি,৫নং ওয়ার্ডের ভাওয়াল বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয় করেন সহ ২দিনে ৩০টি বাড়ি লকডাউন করা হয়।লকডাউনকৃত এলাকায় গণপরিবহন ও জনসমাগম বন্ধ থাকবে।তবে জরুরী পরিসেবায়,চিকিৎসা সেবা,কৃষিপণ্য,কৃষিকাজে নিয়োজিত সেবা,খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ ও সংগ্রহ ইত্যাদি এর আওতার বাইরে থাকবে।
এদিকে শনিবার সকালে বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা মোঃ বশির গাজী,ভোলা নৌকন্ডিনজেন্ট কমান্ডার ডাক্তার আতাউল্যাহ ও লেঃ কমান্ডার সালেহ এর নেতৃত্বে একটি টিম ও স্থানীয় থানা পুলিশ লকডাউনকৃত বাড়িগুলো পরিদর্শণ করে লোকজনের খোঁজ খরব নেন।
তবে ওই শিশুটির বাড়ির লোকজন জানান,আক্রান্ত শিশুটি স্বাভাবিক শিশুদের মতো খেলাধূলা করছে।
এই কর্মকর্তা জানান,লকডাউনকৃত বাড়ির বাইরে লোকজন পাহাড়ায় থাকবে।বাড়ির লোকজনের প্রয়োজনীয় পন্য তাদের চাহিদা মোতাবেক ওরা সরবরাহ করবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার তপতী চৌধুরী বলেন, করোনা পজিটিভ শিশুটি বর্তমানে তার নিজ বাড়িতে আইসোলেসনে আছে।তবে ৩-৪ দিন পরে ওই শিশুর নমুনা পুনরায় পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। আইইডিসিআর এর নির্দেশনা মোতাবেক লকডাউনকৃত এলাকার যে সব লোকদের মধ্যে কেবলমাত্র করোনা উপসর্গ বিদ্যামান কেবলমাত্র তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। তিনি আরও জানান কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য তাদের প্রস্তুতি রয়েছে।