বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে গতবছর এপ্রিল মাস থেকে ভাইরাস প্রতিরোধে বিধিনিষেধ আরোপের কারণে সরকারি চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়া ব্যহত হয়েছে। অনেক নিয়োগ পরীক্ষায় স্থগিত করতে হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে কিছু ক্ষেত্রে চাকরিপ্রার্থীদের বয়সসীমা শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এ তথ্য নিশ্চিত করে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন , সরকারি নিয়োগের যে সমস্ত স্থগিত হয়েছে, সেগুলোর ক্ষেত্রে বয়সসীমা শিথিল করা হবে। চাকরির বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী যে সময় নিয়োগ পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল, সেই সময় থেকে কয়েক মাস বয়সে ছাড় পাবেন চাকরিপ্রার্থীরা। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে সরকারি চাকরিতে মোট অনুমোদিত পদ ১৮ লাখ ৮৫ হাজার ৮৬৮টি। এর মধ্যে কর্মরত রয়েছেন ১৫ লাখ ৪ হাজার ৯১৩ জন, সেখানে নারী চার লাখ ১৪ হাজার ৪১২ জন। পদ শূন্য রয়েছে তিন লাখ ৮০ হাজার ৯৫৫টি। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে বিধিনিষেধের কারণে গত এপ্রিল মাস থেকে সরকারি চাকরিতে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া থমকে আছে। এই অবস্থায় দেশে বেকারের সংখ্যা আরও বেড়েছে। অনেক চাকরিপ্রার্থীই বয়স সীমার কারণে সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার যোগ্যতা বঞ্চিত হয়েছেন। তাদের ক্ষেত্রেই ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। করোনায় বিধিনিষেধের কারণে চাকরিপ্রার্থীরা বয়সের দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে বয়সটা যাতে ছাড় দেওয়া হয় সেই পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে চাকরিপ্রার্থীদের বয়সে ছাড় দিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার জন্য শিগগিরই নির্দেশনা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতির কারণে দেড় বছরের বেশি সময় নষ্ট হওয়ায় সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা দুই বছর বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। গত বছর করোনা মাহামারিত সাধারণ ছুটির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত চাকরিপ্রার্থীদের বয়সের ছাড় দিয়েছে সরকার। ওই বছর ২৫ মার্চ যাদের বয়স ৩০ বছর পূর্ণ হয়েছিল তাদের পরবর্তী পাঁচ মাস পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে আবেদনের সুযোগ দিয়ে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে নির্দেশনা দেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।