আফনান মাসুদ ॥
মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সারাদেশে সরকার ঘোষিত এক সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধের চতুর্থ দিন রোববার সকাল থেকে আগের তুলনা যানবাহন ও মানুষের চলাফেরা কিছুটা বেড়েছে। তবে সকাল থেকে শহরে টহল দিচ্ছে ডিবি,নৌবাহিনী, র্যাব, পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে শহরের বাংলা স্কুল মোড়, বরিশাল দালান মোড়, কালিনাথ রায়ের বাজার, বয়েজ স্কুল মোড়, ইলিশা বাস স্ট্যান্ড, নতুন বাজার, যুগীরঘোল মোড়, গাজীপুর রোড, বাংলা বাজার ও বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাস স্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়েছে রাস্তায় বের হওয়া লোকজন ও যানবাহন আটকে ঘর থেকে বের হওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করছে তারা। সদুত্তর না পেলে যাত্রীদের ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গত তিন দিনের তূলনায় গতকাল ভোলায় লকডাউনে মানুষের চলাফেরা ও যানবাহন চলাচল বৃদ্ধি পেয়েছে। বিধিনিষেধে দোকানপাট বন্ধ আছে সর্বত্ব। তবে এবারের কঠোর বিধিনিষেধে বেশীর ভাগ মানুষ কোভিড-১৯ থেকে রক্ষা পেতে ঘরে থাকা উত্তম মনে করছেন এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়েছে। এদিকে গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও সড়কগুলোতে রিকশা এবং অটোরিকশা সীমিত চলাচল করছে। এছাড়া হাট-বাজার, দোকানপাট ও সড়কে উৎসুক মানুষের অহেতুক ঘোরাঘুরি বেশ কমেছে। তবে, মাস্ক পরা বা স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা বাড়েনি। যার ফলে স্বাস্থ্য বিধি না মানা ও লকডাউনের বিধিনিষেধ ভঙ্গ করায় ৪ দিনে মোবাইল কোর্ট: ৬৭টি, মামলা: ৬২২ টি, আসামী: ৬৫৯ জন, অর্থদন্ড: ৫,৯৭,৫০০/- টাকা কারাদন্ড: ১৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইউসুফ হাসান জানান, লকডাউনের বিধিনিষেধ অমান্য করায় আজ ভোলা জেলা ও উপজেলায় জড়িমা, কারাদন্ড ও মামলা করা হয়।
যার মধ্যে , ভোলা সদরে ৪টি মোবাইল কোর্ট ৩৩টি মামলায় ৩৬ জন আসামীর মধ্যে ৩২ জনকে ৪০৪০০/-টাকা জরিমানা ও ৪ জনকে ৩ দিন করে বিনাশ্রম কারাদন্ড। দৌলতখানে ১টি মোবাইল কোর্ট ৫টি মামলায় ৫ জনকে ২৩০০/- টাকা জরিমানা।লালমোহনে ২টি মোবাইল কোর্ট ৪টি মামলায় ৪ জনকে ৮০০০/-টাকা জরিমানা। তজুমদ্দিনে ১টি মোবাইল কোর্ট ৭টি মামলায় ৭ জনকে ১৭০০/-টাকা জরিমানা। চরফ্যাশনে ১টি মোবাইল কোর্ট ১০টি মামলায় ১৩ জনকে ২৩০০০/-টাকা জরিমানা। এদিকে সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে ভোলা পুলিশের পক্ষ থেকে ভোলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনায়েত উদ্দিন সহ কর্মকর্তারা শহরে করোনা প্রতিরোধে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে মাঝে মাক্স বিতরণ করেন ।