পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত করোনার এই দুর্যোগ মুহূর্তে ঘুষ নেয়ার অপরাধে

করোনা পরিস্থিতিতে সম্মুখযুদ্ধে থেকে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে পুলিশ। প্রায় দুই লাখ সদস্যের পর্যাপ্ত সুরক্ষা সরঞ্জাম না থাকলেও দীর্ঘদিনের গ্লানি মুছতে দিনরাত মানুষকে সেবা দিচ্ছে সংস্থাটি। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারীদের দাফন-কাফন, ত্রাণ সহায়তাসহ বিভিন্ন কাজে নিরলসভাবে কাজ করছে পুলিশ। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও থেমে নেই কিছু অসৎ সদস্যের ঘুষ বাণিজ্য।

চালকদের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে ট্রাফিক পুলিশের এক এটিএসআইয়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে শ্রমিকরা। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় এই ঘটনার পর সোমবার সন্ধ্যায় ওই পুলিশকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার নাম সামিউল ইসলাম।

সোমবার এক ভিডিও বার্তায় বরখাস্তের বিষয়টি জানিয়েছেন পুলিশ সদরদপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) মীর সোহেল রানা। তিনি বলেন, রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে অটোরিকশা চালকের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠায় পুলিশের এটিএসআই সামিউল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া ওই এটিএসআই এর কার্যক্রমকে মনিটর করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকেও শোকজ করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ সদর দপ্তর থেকে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, ট্রাফিক পুলিশের ওই কর্মকর্তা ৫০০ টাকা কেন ঘুষ নিলেন তা জানতে চান কয়েকজন অটোরিকশা চালক। এরপর ওই ট্রাফিক সদস্য দুই একজন চালককে ম্যানেজের চেষ্টা করেন। কিন্তু সব চালক একত্রিত হয়ে তাকে ধাওয়া করে বিক্ষোভ করতে থাকে।

সোহেল রানা বলেন, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হলে তাকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া হবে না। তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এই মুহুর্তে বাংলাদেশ পুলিশের দুই লক্ষাধিক পুলিশ সদস্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। তখন পুলিশের ২/১ একজন সদস্যের ব্যক্তিগত অপরাধের দায়ভার আমরা গ্রহণ করবো না। আমরা কোনোভাবেই ব্যক্তিগত অপকর্মের দায়ভার কাঁধে নিয়ে প্রতিষ্ঠানকে কলুষিত বা ম্লান হতে দেব না।