মোঃ বাবুল রানা,
দৈনিক ভোলা টাইমস:: ভরা মৌসুমেও জেলেরা ইলিশ মাছের দেখা পাচ্ছ না, এতে দুঃখ সময় পার করছেন জেলেরা। শ্রাবণ মাসে যে পরিমাণ প্লিজ পাওয়ার কথা কাংখিত সেই মাছ পাচ্ছেন না জেলেরা। ইলিশেগুড়ি বৃষ্টি আছে , সঙ্গে আছে পূবালী বাতাস গভীর সাগরে সব ধরনের মাছ ধরার, ৬৫ দিনের নির্দেশনা শেষ হবার পর জেলেরা আশায় বুক বেঁধেছিলেন ভেবেছিলে নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশের দেখা মিলবে। কিন্তু ভরা মৌসুমেও দ্বীপ জেলা ভোলার জেলেদের জালে ধরা পড়ছে রুপালী ইলিশ। তবে অনেক জেলেরা আশাবাদী শীঘ্রই জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়বে। জৈষ্ঠ থেকে ভরা মৌসুমে চলছে ইলিশের কিন্তু জ্যৈষ্ঠ আষাঢ় পেরিয়ে শ্রাবনেও আশানুরূপ দেখা মিলছে না। নিষেধাজ্ঞা পর গত শুক্রবার মধ্যরাত থেকে ইলিশ মাছ ধরা শুরু হয়।কিন্তু নদ-নদীতে সাগরে তেমন দেখা মিলছে না ইলিশের। মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে সারা বছরই কিছু-না-কিছু মাছ মেলে এই নদী থেকে। কিন্তু বর্ষাকালে ইলিশের দৌলতেই পুজির জোগানটা হয় । জেলেদের সাথে কথা বললে তারা জানান, টানা ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে জেলেরা সাগরে গেছে। কিন্তু ভরা মৌসুমেও ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ এবার পাচ্ছে না, মাছ ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বললে তারা জানান, এই বছর ইলিশের তেমন জোগান নেই। ইলিশের ওপর অবরোধ শেষ হলে সাগরে জেলেরা তাদের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারছেন না , এতে আমরাও ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। মৎস্য কর্মকর্তা এস এম আজহারুল ইসলামের সাথে মুখোফোনে কথা বললে তিনি জানান,মূলত চলতি বছরে খুব বিলম্বে বৃষ্টি হয়েছে যার ফলে তেমন ইলিশ মাছের দেখা মেলে না। বৃষ্টির পানি হইলেই মাছটা জাগে এখন বৃষ্টি হচ্ছে এ এখন দেখা মিলবে। বৃষ্টির যত বেশি হবে তত মাছে দেখা মিলবে, তবে কিছু কিছু নদীতে মোটামুটি দেখা যাচ্ছে। একদিকে করোনার সংকট, অন্যদিকে নিষেধাজ্ঞার পর ইলিশ না পাওয়ার চরম দুঃশ্চিন্তায় পড়েছে জেলেরা।