ইকবাল হোসেন রাজু,
দৈনিক ভোলা টাইমস:: মহামারি করোনা বিস্তার রোধে সরকার ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে, কঠোর লকডাউনে জরুরী সেবা ছাড়া সকল কিছু বন্ধ থাকার কথা থাকলেও আজ রবিবার থেকে শিল্প কলকারখানা খুলে দিয়েছে সরকার। কর্মজীবী মানুষগুলো ছুটির আগেই কর্মস্থল খোলার সংবাদ শুনে গতকাল থেকে ফেরি ও ট্রলার, স্পিডবোডে যাচ্ছেন কর্মজীবী মানুষগুলো। এদিকে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যম খবর প্রকাশিত হয় আজ রবিবার বেলা ১২ টা পর্যন্ত নৌযান চলাচল করবে। এই খবর শুনে রবিবার ভোর রাত থেকে ভোলার ইলিশাঘাটে ঢাকা ও চট্রগ্রামমুখী যাত্রীরা এসে ভির করেন। ইলিশাঘাট থেকে একের পর এক লঞ্চ ছেড়ে যাচ্ছেন ঢাকা সদরঘাট ও মজু চৌধুরীঘাটে। ঢাকামুখী এমভি দোয়েল পাখি, এমভি ভোলা, কর্ণফুলী ১০ কর্ণফুলী -৪ ও গ্রীণ লাইন এ ছাড়াও মজু চৌধুরী ঘাটের উদ্দেশ্য ৪/৫টি লঞ্চসহ সিট্রাক ছেড়ে গেছে। প্রতিটি লঞ্চেই যাত্রী ছিলো ধারন ক্ষমতার বাহিরে। এদিকে ইলিশাঘাটে যাত্রীদের চাপে পল্টুনে উঠার সিঁড়ি ভেঙ্গে যায়, লঞ্চে উঠতে গিয়ে নদীতে পড়ে গিয়েছেন দুই জন যাত্রী। ইলিশাঘাটে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত ও মাস্ক ব্যবহার করার জন্য প্রশাসন চেষ্টা করেও যাত্রীদের চাপের মুখে সম্ভব হয়নি। বেশির ভাগ যাত্রীর মুখেই ছিলো না মাস্ক অন্যদিকে গাদাগাদি করেই যাত্রী নিয়ে ছেড়ে গেছে লঞ্চগুলো। সরকারের দেওয়া নির্ধারিত টাইমে সদরঘাট পৌঁছতে পারবে কিনা লঞ্চস্টাফদের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, আমরা চেষ্টা করবো শতভাগ নির্ধারিত সময়ে সদরঘাট পৌছার। যাত্রীরা জানান, আর একটু বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে বিকাল পর্যন্ত সময় দিলে আমাদের জন্য উপকৃত হতো, এখন এই লঞ্চ এক টার আগে পৌঁছতে পারবে কিনা সন্দেহ্, এর পর আমরা আবার ঢাকায় গাড়ী পাবো না, আবার প্রশাসনের বাধারমুখী হইতে হবে।