3 August 2021 , 9:58:09 প্রিন্ট সংস্করণ
সীমান্ত হেলাল ॥
এলাকায় প্রতিষ্ঠানের কোন অস্তিত্বই নেই। নামও শোনেনি কেউ কোনদিন। অথচ প্রতি অর্থবছরে ৩০ হাজার টাকাসহ বিভিন্ন সরকারি অনুদান হাতিয়ে নিচ্ছে অস্তিত্বহীন দু’টি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান। এসব বরাদ্ধ দিচ্ছে খোদ সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়। এদিকে উপজেলা সদরে অবস্থিত মূল ধারার সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ” মনপুরা শিল্পকলা একাডেমি” ও “এ.আর. পল্লি সাংস্কৃতিক সংঘ” নামে দুটি প্রতিষ্ঠান নিয়মিত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠান দুটি বারবার আবেদনের পরও রয়ে যাচ্ছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের তালিকার বাইরে। মন্ত্রনালয়ের তালিকায় থাকা প্রতিষ্ঠান “সারেগামা সঙ্গীত নিকেতন” ও “স্মরলিপি সংগীত শিক্ষা কেন্দ্র” নামের দুটি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানেরই ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে উপজেলার সাকুচিয়া ইউনিয়নে। সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়ন ও দক্ষিন সাকুচিয়া ইউনিয়ন। দুটি ইউনিয়নের কোথাও কোন সঙ্গীত চর্চা বা সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্রের অস্তিত্ব নেই। অথচ অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠান দু’টির নামে প্রতিবছর তুলে নেয়া হচ্ছে মোটা অংকের টাকা। এছাড়াও গত অর্থবছরে অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠান দু’টির বাইরেও অসচ্ছল শিল্পিদের নামে এসেছে মাসিক ভাতার টাকা। কিন্তু ওইসব শিল্পিদের পকৃত অর্থে খুঁজে না পেয়ে টাকা ফেরত পাঠানো হয়েছে।
এবছরের প্রাপ্ত মাসিক ভাতার টাকা জমা রয়েছে উপজেলা প্রশাসনের ফান্ডে। এদিকে উপজেলা সদরে অবস্থিত ‘মনপুরা শিল্পকলা একাডেমি’ ও ‘এ. আর. পল্লি সাংস্কৃতিক সংঘ’ নামে দুটি সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্র রয়েছে। শিল্পি জুড়ান চন্দ্র মজুমদারের তত্বাবধানে এই দু’টি প্রতিষ্ঠান গত দুই দশক ধরে পরিচালিত হয়ে আসছে। এখানে রুটিন মাফিক নিয়মিত কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এমনকি উপজেলার সকল জাতীয় কর্মসূচীতে মনপুরা শিল্পকলা একাডেমি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করে আসছে। এটির সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তবে সচল এই দু’টি প্রতিষ্ঠানে নামের তালিকা একাধিকবার সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়ে পাঠানোর পরও অনুদানের তালিকায় একবারও নাম আসেনি। এব্যাপারে মনপুরা শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক শিল্পি জুড়ান চন্দ্র মজুমদার জানান, আমরা প্রতি বছরই সচল প্রতিষ্ঠান দু’টির নাম পঠাচ্ছি মন্ত্রনালয়ে। অথচ উপজেলা সদরে অবস্থিত প্রতিষ্ঠান দু’টির কার্যক্রম নিয়মিত থাকার পরও অজানা কারনে অনুদানের তালিকায় নাম অন্তর্ভূক্ত হচ্ছেনা। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, সচল সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান দু’টির নাম আমরা মন্ত্রনালয়ে পাঠাচ্ছি। তবে অনুদানের তালিকাভুক্ত অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠান দু’টির ব্যাপারে তেমন কোন তথ্য জানা যায়নি। অজ্ঞাত অসচ্ছল শিল্পিদের নামে ব্যক্তিগত মাসিক ভাতা এসেছে। এখন পর্যন্ত ভাতা উত্তোলনের ব্যাপারে কেউ যোগাযোগ করেনি।