চরফ্যাশনে গাছের চারা উঠানোকে কেন্দ্র করে গর্ভবতী নারীসহ আহত ৬

ভোলাটাইমস ডেস্ক::ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার আসলামপুর ইউনিয়নের খতেজাবাগ ৫নং ওয়ার্ডে গাছের চারা উঠানোকে কেন্দ্র করে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এসময় গর্ভবতী নারীসহ অন্তত ৬ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

আহতরা হলেন, ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রাহিমা বেগম(২৫) (অন্তসত্বা), তার স্বামী মো.জাকির (৩২) আসমা (২০) বেল্লাল(২২), জাহিদ (১০) ও স্বপ্না(১৮) (বাক প্রতিবন্ধি)।

মো. জাকির হোসেন অভিযোগ করে বলেন, আমাদের বাড়ির সিমানায় আমাদের রোপনকৃত কিছু ফলদ গাছের চারা ছিলো। গত কয়েকমাস পূর্বে ওই সিমানার জমি নিয়ে আমাদের সাথে একই বাড়ির নুর ইসলাম গংদের সাথে বিরোধ থাকায় স্থানিয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা শালিশের মাধ্যমে উক্ত জমি সংক্রান্ত বিরোধ ফয়সালা করে দেন। এবং ওই জমির সিমানায় আমার রোপনকৃত গাছের চারা অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। গতকাল (২৭এপ্রিল) দুপুরে আমি শালিসি শিদ্ধান্ত মোতাবেক আমার গাছের চারা ও কিছু মাঝারি গাছ উঠিয়ে অন্যত্র সরানোর জন্য গেলে হাফেজ সর্দার এবং তার ছেলে নুর ইসলাম, মিজানসহ তার স্বজনরা মিলে জোর পূর্বক বাধা দিয়ে আমাকে, আমার স্ত্রী,বোনসহ আমার পরিবারের লোকজনকে এলোপাথারি দা, সেনি ও লাঠিসোটা দিয়ে মারধর করে আমার স্ত্রীর হাত ভেঙ্গে দেয় এবং আমার বোন আসমার মাথা ফাটিয়ে দিয়ে পরিবারের লোকজনদের রক্তাক্ত ও ফোলা জখম করে।

অন্তসত্বা ওই নারী বলেন, আমার স্বামী চারা ও গাছ উঠাতে গেলে প্রতিপক্ষ নুরইসলাম ও তার ভাই এসে মারধর করে আমি ডাক চিৎকার দিয়ে ধরতে গেলে তারা আমাকেও লাঠি দিয়ে আঘাত করে।

এ অভিযোগে নুর ইসলাম বলেন, তারা গাছের চারা উঠাতে গেলে আমি তাদেরকে বাধা দেই তবে গাছের চারা বাবদ টাকা নেওয়ার প্রস্তাব দিলে তারা এ প্রস্তাবে রাজি না হয়ে আমাদের সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হয় এক পর্যায়ে তাদের সাথে সামান্য হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

চরফ্যাশন থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুল আরেফিন জানান, আসলামপুরে মারামারির ঘটনায় দুই গ্রুপ থানায় অভিযোগ করেছে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।