চরফ্যাশন ( ভোলা) প্রতিনিধি,
দৈনিক ভোলা টাইমস্: চরফ্যাশনে ৩১ নং উত্তর শশীভুষণ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা নাজমা বেগমের বিরুদ্ধে মসজিদের জমি দখল করার অভিযোগ করেছেন মসজিদের কমিটি সহ মুসল্লরীরা। এ বিষয়ে স্থাণীয় থানা থেকে দেওয়ানী ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত পযর্ন্ত গড়িয়েছে। অভিযোগ সুত্রে জানা যায় ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভুষণ থানার উক্ত শিক্ষিকার বাড়ীর দরজায় স্কুল ও মসজিদ। তার দাদা এছাহাক আলী মাঝি ১৬ শতাংশ তার ভাই নজর আলী মাঝি ৮ শতাংশ জমি ৩১ জানুয়ারী ১৯৮৮সালে ১২৪ নং খতিয়ানে ২১৫/১৬ ন! দিয়ারার ১০৫৭ নং দলিল মুলে মসজিদকে দলিল দিয়ে নিজেদের বসত ঘর ভেঙ্গে জুমা মসজিদ নির্মান ও চালু করেন। পরবর্তীতে কবরস্থানের জন্য ইউনুছ মাঝি ৪৩৬ নং খতিয়ানের ২১৫ নং দাগের ২০৬৬ নং দলিল মুলে ১৮ ডিসেম্বর ১৯৯৭ সালে ৮ শতাংশ জমি দলিল দেন। ২০১৭ সালে ৯ এপ্রিল ১২৪ নং খতিয়ানের ২১৫ নং দাগের ইদ্রিস মাঝি,ফারুক মাঝি, মো.জাকির এক দলিলে ৮ শতাংশ জমি দলিল দেন যা ২ জুন ২০২০ সালে মসজিদের নামে মোট ৪০ শতাংশ জমি রেকর্ড সহ নামজারী হলেও মুলত ভোগ দখলে রয়েছেন ২৪ শতাংশ। মসজিদের জমি দাতা ইদ্রিস মাঝি তার মেয়ে স্কুল শিক্ষিকা নাজমা বেগম এর নিকট একই দাগ থেকে ৪০ শতাংম জমি ক্রয় সুত্রে মালিকানা দাবী করে একই দাগে ২০১৭ সালে মসজিদের ১৬ শতাংশ জমি দখল করে পুকুর খনন সহ স্থায়ী স্থাপণা করে মোট ৮২ শতাংশ জমি ভোগদখলে রয়েছেন । বিষয়টি নিয়ে স্থাণীয়ভাবে কয়েকবার বসাবসি হলেও কোন সুরাহা না হওয়ায় মসজিদ কমিটি জমি উদ্ধারের জন্য পুলিশ সুপার ভোলার নিকট আবেদন করলে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ওসি শশীভুষণ থানাকে নির্দেশ দেন। এ ঘটনার পরই নাজমা বেগম চরফ্যাশন সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে বাদী হয়ে দেওয়ানী মসজিদ কমিটির বিরুদ্ধে ৪৯৯/২১ দায়ের করে। নাজমা বেগমের ছেলে নাঈম বাদী হয়ে একই বিবাদীদের বিরুদ্ধে নিবার্হী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১০৭ /১১৭ দায়ের করেন। নাজমা বেগমের বিরুদ্ধে মসজিদের জমি দখল ছাড়াও প্রভাব খাটিয়ে একই স্কুলে ২০১৩ সাল থেকে কর্মরত থেকে পোষ্যপুত্র আবুল বাশারকে বিয়ে করেন। এ বিষয়ে নাজমা বেগমের সাথে আলাপ করলে তিনি জানান, আমি জমি ক্রয় করে বাড়ি করার সময় মসজিদের কমিটি উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া জমি দাতা গন আমাকে জমি নির্ধারন করে দিয়েছেন। আমার পিতাকে ভুল বুঝিয়ে দলিল নিয়েছে মসজিদ। দীর্ঘদিন একই বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রনজিৎ চন্দ্র দাস বলেন, ৩ বছর পর পর পরিবর্তনের নীতিমালা আছে তবে কিছু ক্ষেত্রে শিথিল থাকে ।