ইউসুফ হোসেন নিরব,
দৈনিক ভোলা টাইমস:: ভোলার রাজাপুর ইউনিয়নের হবু স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণ ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়।ভোলা সদর উপজেলা রাজাপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের আঃ মন্নানের ছেলে মোঃ সজিব হোসেন (২২) এর সঙ্গে একই ইউনিয়নের মোঃ ফারুক এর মেয়ে ঢাকায় কর্মরত গার্মেন্টস কর্মী শারমিন বেগমে (১৮) এর সঙ্গে প্রায় দুই বছর যাবত মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। অতঃপর পারিবারিকভাবে বিয়ের কথাবার্তাও সম্পূর্ণ হয়েছে তারই ধারাবাহিকতায় গত ২৯শে রমজান শারমিন বেগম ঢাকা থেকে নিজ বাড়ি ভোলার উদ্দেশ্যে রওনা করে এবং লঞ্চে উঠেই মোঃ সজিব হোসেন কে মোবাইল ফোনে বলে যে আমি ভোলার উদ্দেশ্যে রওনা করেছি তুমি আমারকে লঞ্চ থেকে এসে নিয়ে যেও। শারমিন বেগমের কথা অনুযায়ী মোঃ সজির হোসেন তাদের বাড়ির কাছের আবু তাহের মোল্লার ছেলে অটোরিকশা চালক মোঃ পান্নু কে নিয়ে লঞ্চ ঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা শারমিন বেগম ও মোঃ সজিব হোসেন নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করলে রাজাপুর ইউনিয়নের চর মনশা ৬নং ওয়ার্ডের ভাঙ্গা ব্রিজের এর দক্ষিণ পাশে রাস্তার উপরে। মোঃ আমজাদ (২৫) পিতা রুহুল আমিন চৌকিদার মোঃ পান্নু (২৬) পিতা আবু তাহের মোল্লা মোঃ ফোরকান (২২) পিতা সুফিয়ান শিকদার সহ আরো অজ্ঞাত নামা কয়েকজন আমাদের অটোরিকশা গতিরোধ করে দাঁড়ায় এবং আমাদেরকে টেনে-হিঁচড়ে রাজাপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডে পার্শ্ববর্তী একটি নির্জন জায়গা জনৈক ঈদু ব্যাপারির জামাতার নির্মাণাধীন ফাঁকা বসত ঘরের মধ্যে নিয়ে যায়। এবং আমার হবু স্বামীকে বেঁধে রেখে মোঃ আমজাদ, মোঃ ফোরকান, মোঃ পান্নুসহ ফিল্মি স্টাইলে জোরপূর্বক পালাক্রমে আমাকে গণধর্ষণ করেন। ধর্ষণের পরে আমার হবু স্বামীকে মারধর করে ২৯.৫০০ টাকা ও ২৩.৪০০, টাকা দামের মোবাইল ফোন জোরপূর্বক নিয়ে যায়। পরে মোঃ ফোরকান, মোঃ আমজাদ,ও মোঃ পান্নু সহ আমাকে ও আমার হবু স্বামীকে চড় থাপ্পড় মেরে বলে যে আমরা যা শিখিয়ে দেবো তোরা সেইভাবে বলবি আমরা মোবাইল ফোনে সেটা ভিডিও ধারণ করব। মোঃ পান্নু, মোঃ আমজাদ ও মোঃ ফোরকানের শিখিয়ে দেওয়া কথায় রাজি না হওয়ায় আমাদেরকে আবারো মারধর করে। মারধরের ভয়েতে আমরা ওদের শিখিয়ে দেওয়া কথা বলার জন্য রাজি হই ভুক্তভোগী শারমিন বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন ওদের শিখিয়ে দেওয়া বলি আমাদের সেই কথা ওরা ভিডিও ধারণ করেন। এই বিষয়ে ভোলা সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন এ বিষয়ে রাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিঠুন চৌধুরী বলেন আমি আগামীকাল ইউনিয়ন পরিষদে যাব যেয়ে পুরো পুরো বিষয়টি ভালো করে জানব এবং অপরাধ যেই করুক তাকে শাস্তি পেতে হবে।