ভোলার শশীভূষন সরকারি সার বিক্রির সময় ২ মেম্বার আটক

ডেস্ক রিপোর্টঃ 
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলা শশীভূষন থানা জাহানপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোঃ সালাউদ্দিন মেম্বার ও জাহানপুর ইউনিয়ন ১,২ ও,৩, নং ওয়ার্ড মহিলা মেম্বার শাহিদা আক্তারের স্বামী মোঃ আলমগীর, অসহায় দরিদ্র কৃষকের সার দীর্ঘদিন যাবত বিক্রি করে (৭মে বৃহস্পতিবার ) দুপুর ১২:০০ ঘটিকায় সময় সার বিক্রির করার অপরাধে ২১৩ কেজি সার সহ ২ জনকে আটক করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি কর্মকর্তা মোঃ শাহিন মাহমুদ।
অবশেষে বিচার কার্যকর সমাধানের জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু হাসনাইন কে দায়িত্ব দেয়া হয়। কিন্তু পর্যাপ্ত প্রমান ও অভিযোগ থাকা সত্বেও কোনো আইনি ব্যাবস্থা গ্রহন না করে জাহানপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কে ডেকে এনে উপজেলা পরিষদে সাধারন ক্ষমা করে মুক্তি দেয়া হয়েছে বলে জানান কৃষি কর্মকর্তা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, সালাউদ্দিন মেম্বার ও মহিলা মেম্বার শাহিদার স্বামী আলমগীর দীর্ঘদিন যাবত এভাবে এক রিক্সাওয়ালার মাধ্যমে সারগুলো দোকানে দোকানে বিলি করেন, এবং রাত হলে দোকান থেকে টাকা নিয়ে যায়। আর দোকানদাররা এসব সার কৃষকদের মাঝে বিক্রি করেন। প্রমান সাপেক্ষে আটকের পর এদেরকে ছেড়ে দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই।তারা বলছেন টাকার বিনিময়ে রফাদফায় ও রাজনৈতিক ক্ষমতায় এরা মুক্তি পেয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
সচেতন মহলের প্রশ্ন,সার পাওয়া যায় ২১৩ কেজি অভিযুক্তরা স্বীকারও করেন। কিন্ত অভিযুক্ত মেম্বার বলেন সেখানে ৬জন কৃষকের সার ছিলো।কৃষি অফিসারের বক্তব্য অনুযায়ি কৃষক প্রতি ৩০কেজি করে সার বিতরন করেন,তাহলে ৬ জন কৃষকের প্রয়োজন ১৮০ কেজি সার।তবে বাকি ৩৩কেজি সার কোথায় থেকে আসলো এবং কিভাবে আসলো? এটা কি পর্যাপ্ত প্রমান নয় কি? এদিকে যে রিক্সাওয়ালা সরকারি সার গুলো সালাউদ্দিন মেম্বারের নির্দেশে মহিলা মেম্বারের বাসা থেকে এনে দোকানে দোকানে পৌছে দিতেন এ বিষয়টি আমাদের সংবাদকর্মীর কাছে স্বীকার করে নিশ্চিত করেছেন।
রফাদফায় মুক্তির অভিযোগ ও সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে চরফ্যাশন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন, মেম্বার এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে এরকম কাজ করার জন্য শাশানো হয়। বিষয়টি তেমন বড় নয় তাই আইনি ব্যাবস্থা গ্রহন করা হয়নি।পরবর্তীতে এরকম বড় কোনো ঘটনা ঘটলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরও বলেন আপনারা সংবাদকর্মী যদি এই বিষয় টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেন। তাহলে আমাদের সমজে মান সন্মান হানি হবে বলে জানান।
এভাবে সরকারি কর্মকর্তারা সরকারি রাজস্ব নিয়ে দুর্নীতি করলে। এই সমাজ দুর্নীতিতে ভরে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন। স্থানীয় লোকজন স্থানীয় লোকজন আরও বলেন এ ধরনের দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। এই বিষয় নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টি কামনা করেছেন সর্বস্তরের কৃষক। যাহাতে আর সরকারি কোন মাল লুটপাট না হয়, তাই প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।