বোরহানউদ্দিনের পক্ষিয়ায় বসতবাড়ী ভাংচুর! সংঘর্ষে একই পরিবারে নারীসহ আহত- ৪

স্টাফ রিপোর্টার:: ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার পক্ষিয়া ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ডে পূর্ব শত্রুতার ও আধিপত্য বিস্তারকরে একই পরিবারে পুরুষ ও নারীসহ আহত চার জন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় বুধবার ৬মে ২০২০ইং তারিখে সন্ধা ৭ঘটিকায় পূর্ব শত্রুতার জেরধরে মোজাম্মেল হক(৭০)ফিরোজা বেগম(৫৫) তানিয়া আক্তার(২৩) সুমি আক্তার(২৫)কে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে স্থানীয় এলাকার বাসিন্দা ও সন্ত্রাসী সাহে-আলম(৪৫) মাহাবুব আলম, আলাউদ্দিন, ইসমাইল ভাসানী,এবং রাকিব জিন্নাহ সহ অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজন। জানাযায় অভিযুক্তরা পাচ বছর আগে আহতদের চাচাতো ভাই মাহাবুব আলমকে (আশি হাজার) টাকা জমি বন্দক বাবত দেন। তবে জমিসুত্রে তা বুঝিয়ে না দিলে তারা টাকা ফেরত চাইলে,সেই টাকা মাহাবুব আলম দিতে অস্বীকার করে।এবং তাদের বন্দক রাখা জমি দখল থেকে জোরপূর্বক ভোগদখল নেয়। অপরদিকে আহত মোজাম্মেল হক অভিযোগ করে বলেন, মাহবুব আলমের ভাই শাহ আলমকে আরো ৩৫০০০ হাজার টাকা বিদেশ যাওয়ার সময় দার দেয়। তবে সুযোগ বুঝে শাহ আলমও সেই টাকা দিতেও অস্বিকার করেন। উক্ত বিষয়টি প্রাক্তন বোরহানউদ্দিন উপজেলার ইউএনও জনাব মোঃ কুদ্দুছ কে জানালে তিনি উভয় পক্ষকে নোটিশ করেন। দুই তিন তারিখ বসার পর তিনি মামলাটি গ্রাম আদালতে বিচার প্রক্রিয়ায় শালিসি কমিটিতে হস্তান্তর করেন। গ্রাম আদালত স্টাম্পের সাক্ষী প্রমাণ এর ভিত্তিতে দুজনকে টাকা দেওয়ার রায় দেওয়া হলেও প্রতিপক্ষ একজন শাহ আলম টাকা দিয়ে দেন। এবং মাহাবুব আলম টাকা দেওয়ার সময় চেয়ে নেন পক্ষীয়া ইউপি চেয়ারম্যান নাগর হাওলাদার কাছ থেকে। এদিকে মামলাটি ৫২৮ এর ভিত্তিতে ভোলার আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে মামলাটি আদালতে তিন বছরের মতো চলতে থাকলে,কোটের বিচারক ফের গ্রাম আদালতের উক্ত রায় বহাল রেখে পরিষদে পাঠায়। পরে মাহবুব আলম উক্ত গ্রাম আদালতে স্টাম্প জালিয়াতির করে এইসুযোগে একটি মামলা দেন আহতদের বিরুদ্ধে। মামলাটি যদিও আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।তবে মামলা উপক্ষাকরে জমি পাওনার মিথ্যা নাটক সাজিয়ে বিভিন্নভাবে হামলা মামলার হুমকি দেন অভিযুক্তরা বলে অভিযোগ করেন আহত ভুক্তভোগীদের, পরে সর্বশেষ গত বুধবার ৬-৫-২০২০ ইং প্রতিপক্ষের হাঁস জমির ধান নষ্ট করে বলে মোজাম্মেল হকের ছেলে মোঃ মামুন বিষয়টি তাদের জানিয়ে অভিযোগ করেন। পরে উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্রকরে, মাহাবুব আলম ক্ষিপ্ত হয়ে তার ভাই শাহ আলম, আলাউদ্দিন মাহাবুব আলমের ছেলে ইসমাইল ভাসানি হোসেন, জিসান এবং শাহ আলমের ছেলে রাকিব জিন্না লাঠিসোঁটা দেশিয় অস্রনিয়ে তাদের বাড়িতে হামলা করে এবং বসত ঘরে ডুকে ঘরের টিভি, ফ্রিজ,সোপাসহ সন্ত্রাসী কায়দায় ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে।একপর্যায়ে তানিয়া আক্তার, মোজাম্মেল হক মাস্টার,রেশমা বেগম, ফিরোজা ও মামুনের স্ত্রী সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা সুমি বেগমকে এলোপাতারি লাটিপিটা ও কুপিয়ে জখম করে গুরুতর আহত করে স্থানত্যাগ করে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। এইসময় সন্ত্রাসীরা তানিয়া আক্তারে গলায় থাকা আটআনা ওজনের একটি স্বর্নের চেইন,এবং সুমি বেগমের গলায় থাকা সাত’আনা ওজনের স্বর্নের লকেট হাতিয়ে নেয় সন্ত্রাসীরা।এবং বসতঘরের আসবাবপত্র ভাংচুরসহ প্রায় দুই লক্ষ টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি করা হয় বলে তদন্তসুত্রে সত্যতা পাওয়া যায়। এদিকে আহতদের বড়ছেলে মামুন ঘটনার তার বাড়িতে হামলার স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরে দ্রুতই বোরহানউদ্দিন থানার পুলিশকে খবর দেয়।পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় আহতদের সবাইকে উদ্ধার করে বোরহানদ্দিন হাসপাতালে জরুরি চিকিৎসা পাঠায়।পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক আহতদের অবস্থা গুরুতর দেখে চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি রাখার পরামর্শ দেন। এব্যাপারে বোরহাউদ্দিন থানায় আহতদের পক্ষহতে মামুন বাদী হয়ে ১১জনকে বিবাদী করে একটি অভিযোগ দাখিল করেন বলে জানায় তারা। এব্যাপারে পক্ষিয়া ইউপি চেয়ারম্যান নাগর হাওলাদার বলেন,তিনি হামলার বিষয়টি অবগত আছেন,উভয়ের তদন্তসাপেক্ষে তিনি স্থানীয়ভাবে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানান। এদিকে দুইদিন পেরিয়ে গেলেও কেন অভিযোগের পরো বোরহানউদ্দিন থানায় এজহার নেয়নি পুলিশ, এবিষয়ে জানতে চাইলে বোরহানউদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি এনামুল হক জানান, বিষয়টি যদিও পারিবারিকভাবে ফয়সালা করার কথাছিল উভয়পক্ষের সম্মতিতে, তবে যদি আহতরা মামলা করতে চান সেক্ষেত্রে তিনি আইনানুগ বিচার পেতে এজহার গ্রহন করবেন ।