29 May 2023 , 1:17:27 প্রিন্ট সংস্করণ
মোঃ বাবুল রানা,
দৈনিক ভোলাটাইমস :: ভোলায় যৌতুকের দাবিতে শাশুড়ী,ভাসুর ও স্বামী কতৃক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ।ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আলাদতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূর নাম মুক্তা বেগম। তিনি ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো.মোফাজ্জল হোসেনের মেয়ে। গৃহবধূ মুক্তা বেগম জানান, বছর খানেক একই ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো.কামাল হোসেনের ছেলে আরিফের সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় তাদের।বিয়ের কিছু দিন ভালো কাটলেও পরবর্তীতে শুরু হয় শশুড় বাড়ির লোকজনের নির্যাতন।স্বামী আরিফ ও বড় ভাসুর নিরব এবং শাশুড়ী মিলে ২ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করেন মুক্তা বেগমের পরিবারের কাছে। যৌতুকের দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে শুরু হয় শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন। তিনি আরো জানান,যৌতুকের টাকার জন্য মুক্তা বেগমের গর্ভে থাকা ৪ মাসের সন্তান ও নষ্ট করেন স্বামী আরিফ হোসেন।পরে তাকে মারধর করে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন শশুর বাড়ির লোকজন। ভুক্তভোগী গৃহবধূর মা রেবু বেগম জানান,আমার মেয়েকে যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে তার শশুর বাড়ির লোকজন আমাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।এর কিছু দিন পরপরই কিছু বুঝে উঠার আগে তারা তালাক নামার কাগজ পাঠিয়ে দেয় আমাদের বাড়িতে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত আরিফ ও তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাদের পাওয়া যায়নি। এছাড়াও তাদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে পরে কথা বলবেন বলে ফোন কলটি কেটে দেন। এ বিষয়ে ভেদুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.কামাল হোসেন জানান, মেয়ের পরিবার থেকে এমন একটি অভিযোগ পেয়েছেন। অভিযোগের প্রেরেক্ষিতে দুই পক্ষ নিয়ে সমাধানের জন্য বসার সিদ্ধান্ত দিলেও। পরবর্তীতে তিনি জানতে পারেন ছেলের পক্ষথেকে তালাক নামা পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় ভোলা সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত)মো. আব্দুল আল মামুন জানান, আমরা বিজ্ঞ আদালত হইতে মোসা.মুক্তা বেগমের একটি কমপ্লেইন প্রিটিশন পাই এবং আদালতের নির্দেশে যৌতুক নির্যাতন আইন ১১(গ) দন্ডবিধি ৩১৩ মামলায় একটি এফআইআর রুজু করি। মামলার পরপরই ঘটনার তদন্ত করা হয়।আসামীরা পলাতক থাকায় তাদেরকে গ্রেফতার করতে বিলম্ব হচ্ছে।আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহত আছে।