দৌলতখানে মুজিববর্ষের ঘরের অপেক্ষায় পঙ্গু আলমগীর

এম এ মান্নান,

দৈনিক ভোলা টাইমস:: ভোলার দৌলতখানে ভূমিহীন ও অসহায় কোঠায় মুজিববর্ষের ঘর পেতে চায় পঙ্গু আলমগীর। বৃহস্পতিবার ( ২৯ আগস্ট) উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের এই আলমগীরের সাথে কথা হয়। বাবা কালাম মিস্ত্রি এবং মাতা মনোয়ারা বেগম এখন আর নেই। বাবা মায়ের অবর্তমানে এই পঙ্গুত্বকে লালন করেই ছোট থেকে বড় হইতে হয়েছে এই আলমগীরকে। মেঘনার তীরসংলগ্ন স্লুজ গেইটের কাছে ছোট্ট একটি ঝুপড়ি ঘরে ২ মেয়ে ১ ছেলেসহ তার বসবাস। সেই ঘরের চালা দিয়েও বৃষ্টি ঝরে। সেই সাথে কপোল গড়িয়ে ঝরে চোখের পানি। অসুস্থ শরীরে তিনি কাজ করেন একটি চায়ের দোকানে। পেটের তাগিদে রোজ বের হয় সকালে। আলমগীর বলেন, “আমার মা বাবা মারা যান আমাকে ছোট রেখে। শুরু হয় বাঁচার তাগিদে এক জীবন যুদ্ধ। পৃথিবীতে আমার আপন বলতে দুই মেয়ে রুমা -তাছলিমা। কথাগুলো বলতেই কান্নায় ভেঙে পরেন আলমগীর । আলমগীর বলেন, মুজিব বর্ষের ঘর পাওয়ার জন্য আবেদন করেছি, দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি, প্রশাসনকে জানিয়েছি, তবুও ভাগ্যে জোটেনি একটি ঘর। যদি আমাকে একটি ঘর উপহার দিত তাহলে বাকী জীবনটা একটু ভাল ভাবে কাটাতে পারতাম।” এই পঙ্গু আলমগীর প্রধানমন্ত্রীর উপহার ভূমিহীন ও গৃহহীন প্রকল্পের আওতায় একটি ঘর পাওয়ার আশায় পথ চেয়ে বসে আছে। দৌলতখান পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার মাসুদুর রহমান বাহার বলেন আলমগীর ঘর পাওয়ার যোগ্য, সে মুজিববর্ষের উপহারের ঘর পেলে উপকৃত হবে। এদিকে ভবানীপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো আওলাদ হোসেন বলেন, আলমগীর ঘরের জন্য এখনও আবেদন করেনি। আবেদন করলে তাকে ঘর যাওয়ার চেষ্টা করবো। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাঠান মো সাইদুজ্জামান  বলেন, যোগ্য বিবেচিত হলে তাকে একটা ঘর দেওয়া হবে।