17 September 2023 , 4:20:51 প্রিন্ট সংস্করণ
এইচ এম নোমান,
দৈনিক ভোলা টাইমস:: চরফ্যাশন প্রতিনিধিঃ দীর্ঘদিন ধরে গৃহবধূকে কূ প্রস্তাব দিয়ে আসছে রিয়াজ। সময় অসময়ে মুখ চেপে ধরার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে তবে লোকসমাজের ভয়ে মুখ না খুললেও কোনরকম উপায় না দেখে বিষয়টি জানান তার স্বামী মনতাজ ওরপে ভূট্রুকে। ভুট্টু বিষয়টি রিয়াজকে জিজ্ঞাসা করলে এতে ক্ষিপ্ত হয় রিয়াজ । পড়ে তার সাথে যুক্ত হয় তার ওপর ভাই মিরাজ, পিতা আব্দুল মান্নান, মাতা ফাতেমা বেগম, অপর ভাই রঞ্জু ও শাকিল। ঘটনার বিবরণে জানা যায় মন্নান পরিবারের একাধিক ব্যক্তি একত্রিত হয়ে উনার দিন সন্ধ্যা ৬.৩০ ঘটিকার সময় প্রথমে ভূট্রুকে বেধড়ক মারধর করে এ সময় তার ভাই রহিম এগিয়ে এলে তাকেও বেধরক মারধর করে । শুধু তাই নয় দুই ভাইকে বেধড়ক মারধরের চিত্র দেখে এগিয়ে আসে ভূট্রুর স্ত্রী মেয়ে রিপা এবং মা জোলেখা। ভুট্টু ও একাধিক এলাকাবাসী জানায়। মারধরের সময় ভুট্টু ও রহিমকে মন্নান পরিবারের সদস্যরা এলোপাতাড়ি পিটিয়ে রক্তাক্ত যখন করে। এ সময় পিটিয়ে আহত করা হয় ভিকটিম ভুট্টোর স্ত্রী মেয়ে রিফা ও মা জুলেখাকে। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে চরফ্যাশন হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থার উন্নতি না দেখে ভোলা সদর হাসপাতালে রেফার করেন। এ ঘটনায় ভিকটিম ভুট্টুর স্ত্রী ভোলার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে ৪ জনের বিরুদ্ধে ৯/৪/খ/১০-৩০/৩২৩/৩০৭ ধারায় মামলা দায়ের করলে আদালত ওসি চরফ্যাশন থানাকে এফআইআর করার নির্দেশ দেন। তবে কোনরকম আঘাতপ্রাপ্ত না হয়েও অভিযুক্ত মিরাজের পরিবার চরফ্যাশন থানায় মামুন, বশির, ভূট্রু, রহিম, রাজিব, জোসনা, এবং আব্দুল আলীমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে ভিকটিমসহ তার পরিবারকে হয়রানি করছেন বলে অভিযোগ তোলেন। ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি মারধর করেই ক্ষ্যান্ত হননি মিরাজের পরিবার, শত্রুতা উদ্ধার করতে ভূট্রুর গৃহপালিত গরুকে বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে মেরে ফেলা হয়েছে। এছাড়াও এই ঘটনার দুদিন পর ভূট্রুর পরিবার বাড়িতে না থাকার সুবাদে তার ওপর ভাইয়ের গৃহপালিত বেশ কয়েকটি হাঁসকে বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে মেরে ফেলা হয়েছে বলে দাবি করেন। মিরাজ চরফ্যাশন উপজেলার ওমরপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সালিউনদা বাড়ির আব্দুল মান্নানের ছেলে। গত পহেলা সেপ্টেম্বর উপজেলার ওমরপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ঘটে এ ঘটনা। স্থানীয় মামুন, নাজমুল, মোতাহার আব্দুল আলিম, মিনু সহ একাধিক এলাকাবাসী জানায়, মন্নানের পরিবার খুবই উশৃংখল। বিভিন্ন সময়ে কারণে-অকারণে বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের সাথে ঝগড়া এবং কথায় কথায় গায়ের দিকে আসেন লাঠি সোটা নিয়ে। ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি স্থানীয় একটি কুচক্রী মহলের পরামর্শে কোনো রকম আঘাতপ্রাপ্ত না হয়েও উল্টো চরফ্যাশন থানায় মামলা দিয়ে ভুক্তভোগীদের হয়রানি করা হচ্ছে। অভিযোগ সম্পর্কে জানতে একাধিকবার মুঠো ফোনে ফোন দিয়েও অভিযুক্তদের কাউকে পাওয়া যায়নি। ঘটনা সম্পর্কে ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মমিন বেপারীর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান ভূট্টুর পরিবার তার কাছে এলে উভয়পক্ষকে নিয়ে ফয়সালার আশ্বাস দিলেও ভূট্টুরা প্রাথমিকভাবে মানতে নারাজ হওয়ায় তার হাতে আর কোন কিছুই করার ছিল না। এক পক্ষ থানায় অপরপক্ষ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। ইউপি সদস্য আরো জানায় মামলাটি আদালতে গরিয়েছে এখন আর আমার কাছে কোন কিছুই করার নেই। ঘটনা সম্পর্কে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান তিনি ঢাকায় রয়েছেন তবে উভয়পক্ষ তার কাছে আসলে ফয়সালা দেওয়ার চেষ্টা করবেন। চরফ্যাশন থানার অফিসার ইনসার্চ জানান এ ঘটনায় মিরাজের পরিবার থানায় অভিযোগ করেছেন, অপরদিকে ভিকটিম আদালতে অভিযোগ করেছেন আদালত মামলাটি এফ আই আর এর নির্দেশ দিয়েছেন।