5 October 2023 , 9:53:05 প্রিন্ট সংস্করণ
তজুমদ্দিন প্রতিনিধি,
দৈনিক ভোলাটাইমস:: ভোলা জেলার তজুমদ্দিন উপজেলায় অনুষ্ঠিত হলো প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনী ও আশ্রয়ন প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সাথে জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের মিলনমেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বুধবার(৪ অক্টোবর) বৈরি আবহাওয়া তথা বৃষ্টি উপেক্ষা করে সকাল ১০ বাঁজতেই সমাবেশে আগত মানুষে কানাকানায় ভরে ওঠে চাঁদপুর সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ। সমাবেশে উপজেলার ৫ ইউনিয়নের সকল ওয়ার্ড হতে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত বিভিন্ন প্রকল্পের প্রায় ১৫ হাজার সুবিধাভোগীর মধ্য থেকে অনেকেই নিজেদের দিন বদলের গল্প শোনান। সমাবেশ শেষে বিকাল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ইয়ুথ ভোলা ০৩ এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন বলেন, “বাংলাদেশের যত উন্নয়ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই হয়েছে। মানুষের এখন ভাতের অভাব নেই। পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল সহ বাংলাদেশের সকল উন্নয়ন করছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশ ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা নিন্ম আয়ের মানুষের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনী ও আশ্রয়ন প্রকল্পসহ নানান সুবিধা দিয়ে নিন্ম আয়ের মানুষের অভাব দূর করেছেন”। বিশেষ অতিথি হিসেবে ভোলা’র জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সুযোগ্য উত্তরসুরী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্রয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে আশ্রয়হীন মানুষেরর জন্য স্থায়ী বাসস্থানের ব্যাবস্থা করেছেন। বিশ্বে তিনিই প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি দেশের সকল ভূমিহী ও গৃহ হীনদের জন্য জমি সহ ঘর করে দিয়েছেন। তিনি দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রুপান্তর করে এবা স্মার্ট বাংলাদেশ করার ঘোষনা দিয়েছেন। যা ২০৪১ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন করার লক্ষে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন”। তজুমদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভ দেব নাথের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মিলন মেলায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাখেন ভোলার পুলিশ সুপার মোঃ মাহিদুজ্জামান( বিপিএম)। অন্যান্য অতিথির মধ্যে বক্তব্য রাখেন, তজুমদ্দিন উপজেলা চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন দুলাল, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা ফখরুল আলম জাহাঙ্গীর, সাধারন সম্পাদক ফজলুল হক দেওয়ান, ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল্যাহ কিরন, মেহেদী হাসান মিশু, আবু তাহের মিয়া, মো: রাসেল মিয়া, ভাইস চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন পোদ্দার ও কোহিনুর বেগম শীলা, আ’লীগ নেতা মামুন আহম্মেদ ও ইসতিয়াক হাসান প্রমুখ। সমাবেশে উপজেলার ৫ ইউনিয়নের সকল ওয়ার্ড থেকে আগত সুবিধাভোগীরা নিজেদের দিন বদলের গল্প শোনানোর সময় আবেগাপ্লুত হয়ে আনন্দ অশ্রুসিক্ত হয়ে পরেন। এ সময় তারা নিজেদের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি ও মাথা তুলে দাড়ানোর ব্যবস্থা করায় প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় সাংসদকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তাদের অনেকেই আবারও শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান বলে জানান। উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা জেলে কবির হোসেন বলেন, আগে মেঘনায় ইলিশ শিকারের জন্য গেলে ডাকাতের কবলে পড়ে আমাদের সহায় সম্বল হারাতে হতো। এখন নদী ডাকাত মুক্ত হয়েছে। মৎস্য আহরণে নিষেধাজ্ঞা থাকলে এসময় আমাদের চাল দেয়া হয়। ভিজিএফ সুবিধাপ্রাপ্ত সোনাপুর ইউনিয়নের নার্গিস বেগম জানান, “সংসারে আয় রোজগার কম ছিলো। ছেলে মেয়ে নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতে হতো। এখন চাউল কিনতে হয়না। শেখ হাসিনা এখন আমার মতো শতশত হতদরিদ্রদের জন্য ভিজিডি কার্ডের ব্যবস্থা করেছেন। শেখ হাসিনাকে আল্লাহ সুস্থ রাখুন”। আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর পেয়ে জাহানারা বেগম জানান, “নদী ভাঙ্গনের কারনে বেড়িবাঁধের পাশে কিছুদিন আশ্রয় নিয়েছি। এমপি শাওন একদিন বেড়িবাঁধে কম্বল নিয়ে আসার পর তার সহযোগিতা চাই। পরে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘর পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন। এখন সবাইকে নিয়ে ভালো আছি। এজন্য শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চাই”।