17 May 2020 , 9:06:55 প্রিন্ট সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার,
দৈনিক ভোলাটাইমস্ ::আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী এতো রিলিফ দিয়েছেন, এতো অর্থনৈতিক সাহায্য করেছেন। এটা অতীতে কোন দিন হয়নি এবং ভবিষ্যতে হবে বলে মনে হয়না। তিনি যে নির্দেশনা দিয়েছেন, কৃষকের জন্য প্রনোদনা, ব্যবসায়ীদের জন্য প্রনোদনা, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য প্রনোদনা। এগুলো যদি সঠিক ভাবে বাস্তিবায়িত হলে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। রবিবার দুপুরে ভোলা সদর উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে প্রায় ২ হাজার ঈমাম, মুয়াজ্জিন ও পুরোহিতদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেন। পরে তিনি খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন ঘোষনা করেন। তিনি আরো বলেন, আমরা রিলিফ দিচ্ছি। কোন দলীয় রিলিফ না। যারা গরীব, দুস্থ। দিন আনে দিন খায়। অনেক শ্রমিক আছে গাড়ি চালায় কিন্তু বর্তমানে কাজ নাই। যারা ট্রাক চালায় কাজ নাই। যারা নসিমন করিমন চালায় কাজ নাই। ঘাটের মাঝি, ঘাটের শ্রমিক তাদের কাজ নাই। প্রত্যেকের ঘরে ত্রাণ পৌছে দিতে হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী ইতি মধ্যেই অনেক গৃহিত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। তিনি ভোলার গরীব কয়েক হাজার মানুষের মধ্যে যারা দুস্থ তাদেরকে আড়াই হাজার করে টাকা দিবেন। বিভিন্ন প্রনোদনা দিবেন। আমরা বয়স্ক ভাতা, বিধাব ভাতা, প্রতিবন্ধি ভাতা দেই। আমরা বিভিন্ন সময় চাল দিয়েছি। আমি ব্যাক্তিগত ভাবে গত ৩ বার ৩০ হাজার পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছি। আরো ১০ হাজার মানুষের মাঝে রোজার মধ্যে চতুর্থ বার ত্রান দিবো। ঈদের দিনে দুস্থ মা বোনেরা যেন তাদের সন্তানদের খাওয়াতে পারে। তোফায়েল আহমেদ আরো বলেন, শুধু আমি না, বোরহানউদ্দিন দৌলতখানে সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল, লালমোহন তজুমদ্দিনে নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, চরফ্যাসন মনপুরায় আবদুল্লাহ ইসলাম জ্যাকব, আমরা প্রত্যেকে গত ২ মাস আপনাদের পাশে দাড়িয়ে ত্রাণ বিতরণ করেছি। ঠিক একই ভাবে সারাদেশে জনপ্রতিনিধি তারা নিজেরা নিজস্ব এলাকায় থেকে ত্রাণ বিতরণ করছেন। বিতরণ অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল মমিন টুলু, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সম্পাদক জহুরুল ইসলাম নকীব ও সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব উপস্থিত ছিলেন।