কনজুমার সেলসম্যানের উপর সন্ত্রাসী হামলা মারপিট করে টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ

লালমোহন প্রতিনিধি ,
দৈনিক ভোলাটাইমস্ ::লালমোহন উপজেলার কর্তারহাট বাজারে আবুল খায়ের এন্ড কোং ও সিটি গ্রুপের কনজুমার সেলসম্যানদের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত-রক্তাক্ত জখম করে নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সকাল অনুমান ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় লালমোহনে কর্মরত অন্যান্য সকল কোম্পানির কনজুমার সেলসম্যানদের মধ্যে আতংক বিরাজমান। তারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। জানা যায়, লালমোহন উপজেলায় আবুল খায়ের এন্ড কোং এর সেলসম্যান এসআর আঃ সাত্তার শাহীন ১৬ মে রামগঞ্জ ইউনিয়নের কর্তারহাট বাজারে রুবেল স্টোর থেকে দুধ ও চাপাতির অর্ডার আনে। একই দিনে ওই দোকান থেকে সিটি গ্রুপের এসআর মোঃ নাজিম উদ্দীন চিনির অর্ডার আনে। নাজিমের সাথে চিনির প্যাকেটের মূল্য ১টাকা কম ধরতে বললে নাজিম ওই দোকানদারকে কোম্পানির উপরস্থ কর্মকর্তদের সাথে আলাপ করে ১টাকা কম ধরার সুবিধা দিতে পারলে তা জানাবে এবং পরবর্তী অর্ডার থেকে তা কার্যকর করবে বলে জানায়। পরের দিন ১৭ মে ওই দোকানে অর্ডারের মাল সাপ্লাই দিতে গেলে সিটি গ্রুপের মালের ১টাকা কমিশনের জন্য চাপ দেয় আবুল খায়ের কোম্পানির ডিএসআর শ্যামলকে এবং এ বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রুবেলসহ ৪/৫ জনে মিলে শ্যামলকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে ও তার সাথে থাকা ব্যাগ থেকে কোম্পানির কালেকশনের ৫০৫২০ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। শ্যামলকে উদ্ধার করতে গেলে কোম্পানির মালবাহী গাড়ির ড্রাইভার ও হেল্পার সালা উদ্দিন ও কালুকে মারধর করে এবং মালসহ গাড়ি আটক করে। আবুল খায়ের কোম্পানির এসআর আঃ সাত্তার শাহীনের কাছে এ খবর পৌঁছালে শাহীন দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। সেখানে গিয়ে শাহীন বিবাদের বিষয় জানতে চাইলে রুবেল ও তার সঙ্গীরা তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে এবং তার সাথে থাকা ২০৪০০ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে লালমোহন হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। গুরুতর জখম শাহীনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং আহত শ্যামলকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। কর্তাহাট এলাকায় রুবেল ও তার সঙ্গীরা কোম্পানির গাড়ি ঢুকতে দিবে এবং কোন অর্ডার কাটতে দিবে না বলে হুমকি দেয়। উক্ত ঘটনা কাউকে জানালে বা কোনপ্রকার বিচার দাবী করলে তাদেরকে উপজেলার যেখানে পাবে, সেখান থেকে ধরে নিয়ে মারপিট করবে বলেও হুমকি দেয় রুবেল ও তার সঙ্গীরা। রুবেল এলাকায় বিভিন্ন সময় নানা অপকর্মের হোতা বলে স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র জানায়। বিভিন্ন রুবেল আরো কোম্পানির লোকের সাথে দুর্ব্যবহার করেছে বলে জানা যায়। নির্যাতিতরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ বিষয়ে লালমোহন থানার সৎ ও নিষ্ঠাবান অফিসার ইনচার্জ মীর খায়রুল কবির বলেন, নির্যাতিতদের থেকে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ডিউটি অফিসার এসআই বিল্লাল বলেন, আমি ঘটনাটি শুনে ওসি স্যারকে জানিয়েছি। কোম্পানির উপরস্থ কর্মকর্তা বলেন, লালমোহন থানার দায়িত্বশীল নিষ্ঠাবান অফিসার ইনচার্জ মীর খায়রুল কবির সাহেবের সাথে আলাপ করে আইনগত ব্যবস্থা নেব। আমরা আহত এসআর শাহীন ও ডিএসআর শ্যামলসহ আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। তাদের প্রতি সমবেদনা জানাই। এসময় কোম্পানির কর্মকর্তারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে তাদের এসআরদের শান্ত থাকতে বলেন। উল্লেখ্য শাহীন ও কালুর বাড়ি লালমোহন পৌরসভা ১১ ও ৩নং ওয়ার্ডে, সালা উদ্দিনের বাড়ি চরভুতা ৭নং ওয়ার্ডে নাজিমের বাড়ি চর কালাচাঁদ গ্রামে ও শ্যামলের বাড়ি চর ফ্যাশন পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডে। তারা সকলে এ ঘটনার ন্যায় বিচার দাবী করেন।