ভোলায় ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে ডিসি-আরিফুজ্জামান 

এ.সি.ডি.অর্জুন,
দৈনিক ভোলার টাইমস :: মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান শুরু হয়েছিলো গত ১২ অক্টোবর’২৩ তারিখে। ২২ দিনের অভিযান শেষ হতে আর মাত্র ৫ দিন বাকী থাকলেও শনিবার(২৮ অক্টোবর) শেষ দিকের অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য ভোলা সদরের ইলিশা ফেরি ঘাট থেকে রাজাপুর ইউনিয়নের রামদাশপুর এলাকা সহ মেঘনা নদীতে অভিযান পরিচালনা করেন ভোলা’র জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান। স্পিডবোর্টে চড়ে বেশ কয়েকটি ইলিশ অভয়ারন্য পরিদর্শন কালে রামদাশপুর চরাঞ্চলের শতাধিক জেলেদের সাথে কথা বলেন জেলা প্রশাসক। তিনি ইলিশ সংরক্ষণের সুফল সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে জেলেদেরকে বলেন, “আপনারা ২২ দিন মাছ না ধরে যে কষ্ট করেছেন তার সুফল আগামী দিনে বড় ও বেশি মাছ পাওয়ার মাধ্যমেই পেয়ে যাবেন। কেননা এখন একটি মা ইলিশ ডিম ছাড়ার ফলে পরবর্তিতে হাজারো ইলিশ বৃদ্ধি পাবে। ইলিশ আপনাদের সম্পদ। তাই আপনারাই ইলিশ ধরে বাজারে বিক্রি করে নিজের ও দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারবেন”। এ সময় জেলেদের বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনেন এবং সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেন শতভাগ কাজে বিশ্বাসী ডিসি আরিফুজ্জামান। অভিযান কালে নদীতে পাতা প্রায় ১ হাজার মিটার অবৈধ জাল ও প্রায় ৫ কেজি পরিমান ছোট ইলিশ মাছ জব্দ করে জাল গুলো পুড়িয়ে মাছ গুলো এতিমখানায় দান করেন ডিসি আরিফুজ্জামান। প্রায় দুই ঘন্টার অভিযানে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত মৎস্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় উপ পরিচালক ডক্টর মোতালেব হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) তামিম আল ইয়ামিন, ভোলা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(প্রশাসন) আছাদুজ্জামান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তৌহিদুল ইসলাম ও একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম আজাদ, সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মাহফুজুর রহমান ও ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা এবং বিভিন্ন মিডিয়ার বেশ কয়েকজন সাংবাদিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য। উল্লেখ্য ভোলা জেলার ১৯০ কলোমিটার নদী এলাকায় ইতিমধ্যে ১০৩ টি মোবাইল কোর্ট ও ৩৩৩ টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন জেলা মৎস্য বিভাগ।