29 October 2023 , 3:32:10 প্রিন্ট সংস্করণ
দৈনিক ভোলার টাইমস ডেক্স::
ভোলার দৌলতখানের এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মৎস্যজীবীদের ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রায় তিন হাজার কার্ড ধারী জেলেদের চাউল বিতরণ করলেও বাকি দেড় হাজার জেলেরা চাউল পায়নি বলে এমনি অভিযোগ। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার কাছে একাধিক অভিযোগ করেও প্রতিকার পায়নি সাধারণ জেলেরা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ৭ নং সৈয়দপুর ইউনিয়নে। পরে জেলেদের পক্ষে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দপুর ইউনিয়নে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ সময়ে জেলেদের মানবিক কর্মসূচির আওতায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার প্রত্যক কার্ডধারী জেলেকে ২৫ কেজি ভিজিএফ (চাল) বরাদ্দ দেওয়া হয়। সৈয়দপুর ইউনিয়ন থেকে সরকারীভাবে মোট নিবন্ধনকৃত জেলের সংখ্যা ৪৬০৪ জন। কার্ডধারী জেলের সংখ্যার প্রায় জেলেরা নদী ভাঙনের কারণে বিভিন্ন স্থানে স্থায়ীভাবে বসবাস করে। কার্ড ধারী জেলের বরাদ্দকৃত চাউলের পরিমান ১১৬ টন। অনেকেই চাউল নিতে বিলম্ব করেন। “সৈয়দপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ৯০ টন চাল উত্তোলন করে চেয়ারম্যান, ওয়ার্ডের মেম্বার দ্বারা বিতরণ করেন। এর মধ্যে মেম্বারগণ প্রকৃত জেলেদের সিলিপ না দিয়ে তাহাদের আত্মীয়স্বজনের মধ্যে বিতরণ করেন। জেলেরা মেম্বার ও চেয়ারম্যানের কাছে চাউল আনতে গেলে আগামি ট্রিপে চাউল দিবে বলে বিদায় করে দেয়। আমাদের জেলে কার্ড আছে, আমরা অনুমোদিত জেলে। দুর্নীতির কারণে আমরা জেলে সুবিধা হইতে বঞ্চিত এবং অনেক জেলের কার্ড জব্দ করিয়া রাখিয়াছেন। যাহা নিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় ও সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার কাছে একাধিক অভিযোগ করেও প্রতিকার পাই নাই। সৈয়দপুর ইউনিয়নের অবশিষ্ট ২৬ টন চাউল খাদ্যগুডাম হইতে বিভিন্ন ডিলারের কাছে বিক্রি করিয়া বিক্রিত টাকা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারগণ ভাগ বণ্টন করিয়া নিয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন বিষয়ে জিগ্যেস করলে চেয়ারম্যান চড়াও হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। সৈয়দপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল মালেক মাস্টার এবিষয় অস্বীকার করে বলেন, আমি যদি বিক্রি করে থাকি আমাকে জেলে দিয়ে দেন প্রমাণও লাগবেনা, আমার এই বুড়া বয়সে আর চেয়ারম্যানী ভালো লাগেনা। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, অভিযোগের একটা অনলিপি আমি পেয়েছি, নিবন্ধিত জেলেরা কেন চাল পায়নি এ বিষয়ে ডিসি মহোদয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। ভোলা জেলা প্রশাসক মোঃ আরিফুজ্জামান বলেন, জেলেরা চাল পাইনি এরকম বিষয় ছাড় দেওয়া হবে না তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।