29 February 2020 , 12:23:00 প্রিন্ট সংস্করণ
তজুমদ্দিন প্রতিনিধি,
দৈনিক ভোলাটাইমস :: ভোলা মেঘনা নদীতে জাল পাতাকে কেন্দ্র করে ইউসুফ মাঝি গ্রুপ ও কামাল মাঝি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ১১ জেলে আহত এবং রাফি (১৭) নামের এক জেলে নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজ জেলের গ্রামের বাড়ী মলংচড়া ৭নং ওয়ার্ড।এ ঘটনাটি শুক্রবার সন্ধ্যায় তজুমদ্দিন উপজেলার চরজহির উদ্দিন মেঘনার নদীর বরিশাল খাল এলাকায় ঘটেছে। আহতরা ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে।
আহত মলংচড়া ৩নং ওয়ার্ডেও কামাল মাঝি অভিযোগ করে বলেন, আমার মাঝিরা বরিশাল খালে ইলিশ জাল আগে পাতেন। ওই জাল উঠিয়ে নেয়ার জন্য ইউসুফ মাঝি’র জেলেরা বাধ্য করেন। জাল উঠাতে দেরি হওয়ায় আমার ইলিশের জাল কেটে দেয়।
আমার জেলেরা এতে বাধাঁ দিলে ইউসুফ মাঝি’র নেতৃত্বে রাসেল, আইয়ুব, ফারুক, ফিরোজ, রিয়াজ, ইলিয়াছ, হাফেজ, আ: হাই, তসলিম সহ ৭/৮ ট্রলার নিয়ে ৭০-৮০ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার মাঝিদেরকে হাতুর দিয়ে বেদম মারধর করেন এবং কুপিয়ে জখম করে। তাদের সাথে থাকা ৮টি টার্চ মোবাইল সেট এবং নগদ ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে তাদেরকে নদীতে ফেলে দিয়ে ইলিশের জাল এবং ট্রলার নিয়ে যায় মূল্য প্রায় ৮লক্ষ টাকা। আমার জেলেরা নিজেদের জীবন বাচাঁতে বিভিন্ন নৌকায় আশ্রয় নেয় এবং রাফি নামের এক জেলে এখনও নিখোঁজ রয়েছে। এঘটনা শুনে আমি গেলে আমাকেও বেদড়ক মারপিট করে তারা।
ওই সময় হামলাকারীদের হামলায় আমার জেলে আকতার, রুবেল, ইউসুফ, ইসমাইল, জুয়েল, মিজান, মনির, রহিম গুরুতর আহত হয়। আমিসহ তাদেরকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছি। তিনি জানান, জেলে রাফি’র সন্ধ্যানের জন্য নদীর পাড়ে তারা মাইকিং করছে। তিনি প্রশাসনের কাছে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।
আহত ইউসুফের ভাই নুর ইসলাম জানান, সংঘর্ষের সময় আমাদের ২জন জেলেও আহত হয়। আর ওদের জেলেরা নদীতে পড়ে গিয়ে বিভিন্ন নৌকায় উঠে। পরে আমরা জাল ও ট্রলার নিয়ে আসি। এগুলো আমাদের জিম্মায় রয়েছে।
তজুমদ্দিন থানার অফিসার ইন-চার্জ এস.এম জিয়াউল হক জানান, এ ঘটনা তার জানা নেই। তার কাছে কেউ অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে তিনি জানান।