ভোলা মেঘনা নদীতে পুলিশ ও জেলেদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া: আহত-৭

রাকিব হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি,

দৈনিক ভোলাটাইমস:: মেঘনা নদীতে ভোলা বোরহানউদ্দিন তজুমদ্দিন সীমান্তবর্তী সুইস গেইট ও সোনাপুর এলাকায় অভয়াশ্রমে মাছ শিকার করার অপরাধে একটি বিহিন্দি জাল আটক করেন মৎস্য বিভাগ। এ ঘটনা কে কেন্দ্র করে প্রায় দুই ঘন্টা ব্যাপী পুলিশ ও জেলেদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনাটি শনিবার দুপুর ২টা হতে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে। পরে বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহি অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. বশির গাজী, অফিসার ইন-চার্জ ম. এনামুল হক ও তজুমদ্দিন থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে আক্রমনকারী ৪টি ট্রলার ও বিহিন্দি জাল, সুতার জাল জব্দ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নেয়। বোরহানউদ্দিন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা নাজমুস সালেহীন জানান, মেঘনার মির্জাকালু সুইস গেট এলাকা সংলগ্ন ও তজুমদ্দিন সীমান্তবর্তী সোনাপুর এলাকায় বোরহানউদ্দিন থানার এস.আই বেল্লাল সহ সর্ঙ্গীয় ফোর্স সহ আমাদের মৎস্য অফিসের একটি টিম অভিযানে যায়। ওখানে একটি বিহিন্দি জাল আটক করে। পরে জেলের ৪টি ট্রলার লাটিসোটা ও ইট নিয়ে আমাদের টিমের উপর আক্রমন করেন। প্রায় ২ ঘন্টা ব্যাপী ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে। ওই সময় আমাদের সহযোগি ট্রলারের মাঝি সহ ৭ জন আহত হয়েছে। পরে বোরহানউদ্দিন নির্বাহি অফিসার মো. বশির গাজী স্যার ও থানার অফিসার ইনচার্জ, ম. এনামুল হক ও তজুমদ্দিন থানার যৌথ অভিযানে আক্রমনকারী জেলেরা নৌকা ট্রলার ও জাল রেখে পালিয়ে যায়। ওখান থেকে ৪টি মাছ ধরার ট্রলার ও ১টি বিহিন্দি জাল ও সুতার জাল জব্দ করা হয়। হাকিমুদ্দিন লঞ্চ এলাকায় ও ৪টি মাছ ধরার ট্রলার ২ লক্ষ টাকা নিলাম দেয়া হয় এবং আটককৃত জালগুলো পুড়িয়ে ফেলা হয়। এব্যাপারে বোরহানউদ্দিন থানার অফিসার ইন-চার্জ ম. এনামুল হক জানান, বোরহানউদ্দিন থানা ও তজুমদ্দিন থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে আক্রমনকারী জেলেদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয়। এব্যাপারে বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহি অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. বশির গাজী ঘটনার সত্বত্য স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনা শুনে পুলিশের সহযোগিতায় আক্রমণকারী জেলেদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয়। এসময় ৪টি মাছ ট্রলার ও জাল আটক করা হয়। জালগুলো পুড়ে ফেলা হয় এবং ৪টি ট্রলার নিলাম দেয়া হয়।