15 March 2020 , 4:36:16 প্রিন্ট সংস্করণ
বিশেষ প্রতিনিধি, বোরহানউদ্দিন থেকে ফিরে
দৈনিক ভোলাটাইমস:: ভোলার বোরহানউদ্দিনে পুর্ব শত্রæতার জের ধরে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা একটি নিরীহ কৃষক পরিবারের উপর দিনের পর দিন জুলুম নির্যাতন চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিগত ১৯৯৭ সাল থেকে ২০২০ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত কৃষক পরিবারের উপর কারন অকারনে কমপক্ষে ৩০ বার হামলা করেছে সন্ত্রাসীরা। এলাকার দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী সাজাপ্রাপ্ত আসামী মনির হোসেন-নুরুল ইসলাম ও তাদের অস্ত্রধারী বাহিনীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ দিন দিন তীব্রতর হচ্ছে। বোরহানউদ্দিনের পক্ষিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা কৃষক আজিজুলহক মিয়ার পরিবারের উপর লোমহর্ষক এমন পৈচাশিক নিপীড়নের কাহিনী এখন গ্রামের প্রতিটি মানুষের মূখে মূখে । সরেজমিন তথ্যানুসন্ধানকালে জানা গেছে, কৃষক আজিজুল হক মিয়া ও তার চাচা মোখলেছুর রহমান গংরা গ্রামের অপর বাসিন্দা আলী মিয়া গংদের কাছ থেকে এস. এ ১৩০৪ নং খতিয়ানভুক্ত ৪ একর ৪৭ শতাংশ জমি ক্রয় সূত্রে মালিক হন। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দা মনির ও নুরুল ইসলাম গংরা নিজেরা পৈত্রিক সূত্রে ওই জমির মালিক দাবী করলে আজিজুল গংরা দেওয়ানী আদালতে মোকদ্দমা যার নং ০২/৯৭ দায়ের করলে আদালত বাদী পক্ষে ডিক্রি প্রদান করেন। ওই ডিক্রি বিরুদ্ধে আপীল করেই মনির-নুরুল বাহিনী সন্ত্রাসী কর্মকান্ড শুরু করে। কৃষক পরিবাররের নারী-পুরুষসহ ৭/৮ জনকে কুপিয়ে রক্তাক্ত ক্ষত-বিক্ষত করে। ওই ঘটনার পর সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। সন্ত্রাসী ও হত্যা চেস্টা মামলায় মনির হোসেন গ্রেপ্তার হলে জেল হাজতে যায়। ওই মামলার মনিরের ৩ বছরের সাজা হয়। আপীলে সাপেক্ষে জামিন পেয়ে মনির এলাকায় এসে ফের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড শুরু করে। গত সপ্তাহে সরেজমিন পক্ষিয়ায় গেলে দেখা গেছে, মনির হোসেন ও তার সঙ্গীয় নুরুল ইসলাম নিজেদের অস্ত্রধারী বাহিনী নিয়ে গ্রামে মহড়া দিচ্ছে। কেটে নিচ্ছে আজিজল মিয়ার গাছ গাছালী। কৃষক আজিজল মিয়া অভিযোগ করেছেন, প্রতি পক্ষ সন্ত্রাসীরা তার জমি দখলের চেষ্টা চালিয়ে প্রায় দশলাখ টাকার গাছ কেটে লুটে নিয়ে গেছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, ক্যাডার বাহিনী বেস্টিত হয়ে মনির ও নুরুল ইসলামের বাহিনী কৃষক পরিবারের গাছগুলো কেটে নিয়ে উল্লাশ করছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মনির ও নুরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, এলাকার সাংসদ আলী আজম বিষয়টি জানেন। এমপির নির্দেশ পেয়েই গাছ গুলো তারা কাটছেন বলে দাবী করেন। তবে এলাকাবাসী জানান. সাংসদ মুকুলের নাম ভঙ্গিয়ে এসব সন্ত্রাসীরা পক্ষিয়া গ্রামের জনপদে লুটের রাজত্ব চালাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে ভোলা-২আসনের সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুলের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ঘটনাটি জেনে তিনি দ্রæত ব্যবস্থা নিবেন। তার নাম ভাঙ্গিয়ে যারা এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করবে তাদের রক্ষা হবেনা। ওদিকে জমির মালিকানার স্ব-পক্ষে তারা কোন কাগজ দেখাতে না পেরে বলতে থাকেন, আদালত আজিজল মিয়ার পক্ষে ডিক্রি দিলেও আমারা আপীলের মাধ্যমে তা স্থগিত করি । জমিতে আদালত কোন প্রকার নিষেধাজ্ঞা দেয়নি বলেই গাছ গুলো কেটে নেয়া হচ্ছেবলে তারা সাফ জানিয়ে দেয়।
ওদিকে নিজেদের ক্রয়কৃত জমি হওয়া শত্বেও কৃষক পারিবার তাদের গাছ লুট ঠেকাতে পারছেনা বলে জানান। গাছের কাছে গেলে তাদেরকে খুন করে টুকরো টুকরো করার হুমকি দিচ্ছে মনির-নুরুল বাহিনী । বর্তমানে এসব সন্ত্রাসীদের ভয়ে কৃষক আজিজল গংদের পরিবারের লোকেরা এখন চরম আতঙ্ক. উদ্বেগ আর উৎকন্ঠার মধ্যে দিন রাত কাটাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।
তারা এসব সন্ত্রাসীদের কবল থেকে নিস্তার পেতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুলের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সুপ্রিয় পাঠক, কে এই মনির, কি তার পরিচয়, তার সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের নানা কাহিনী পড়–ন আগামী পর্বে।
ক্ষেপ কামনা করেছেন।
সুপ্রিয় পাঠক, কে এই মনিরুল কি তার পরিচয়, তার সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের নানা কাহিনী পড়–ন আগামী পর্বে।