18 March 2020 , 3:00:27 প্রিন্ট সংস্করণ
মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ(রাজিব),
দৈনিক ভোলাটাইমস:: ভোলা জেলা সিআইডি কর্তৃক জ্বিনের বাদশা ওরফে মোঃ রিপন (২৪) গ্রেফতার । ভোলা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক জনাব আজগর আলীর নেতৃত্বে সিআইডি সদস্য মোঃ সাদ্দাম হোসেন ও মোঃ শাহাবুদ্দীন আসামী রিপন, পিতা আঃ রব সাং-দালাল পুর ৫নং ওয়ার্ড, থানা বোরহানউদ্দীন জেলা ভোলাকে অদ্য ইং-১৮-০৩-২০ তাং সকাল অনুমান ১০.৩০ ঘটিকার সময় ভোলা পৌরসভাস্থ্য সামসুদ্দীন মার্কেট কাজী অফিসের সামনের রাস্তা হতে গ্রেফতার করে। আসামী রিপন বোরহানুদ্দীন থানার মামলা নং ১২ তাং ০৯-০১-২০ ধারা ৪০৬/৪২০ জিআর নং ১২/২০ মামলার এজাহার ভুক্ত ২ নং আসামী । আসামী রিপন এর প্রতারনার ব্যবহারীত কথীত কষ্টি পাথর স্বর্নের চাবি ও স্বর্নের বল উদ্ধার করেছে সিআইডি। উক্ত মামলার বাদি ফরিদ দালাল জানান যে মামলার ১নং আসামী সবুজ খনকার ও রিপন জার ফু সহ বিভিন্ন পদ্ধতি দিয়ে মানুষের রোগ মুক্তি করে। তাহাদের কাছে জ্বিন আছে বলে সবাইকে জানায়। আমার স্ত্রীর সমস্য দেখা দিলে আসামীদের কাছে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে, আমার স্ত্রীকে দেখে বলে যে আমার স্ত্রীর ভাগ্য অনেক ভালো। সে অলৌকিক ভাবে মানিক রতন ও স্বর্ন অলঙ্কার সহ বিভিন্ন মূল্যবান সম্পদের মালিক হবে তাই মেডিসিন তৈরী করার জন্য আমাকে নগদ টাকা দিতে বলে। আমি আসামীর কথা বিশ্বাস করে তাকে বিভিন্ন সময়ে সর্বোমোট ৫৩ লক্ষ টাকা দেই। সে আমাকে সাতটি সোনালী রং এর বল দিয়ে বলে এগুলো স্বর্নের বল। আরো বলে যে এটা লুকিয়ে রাখতে। এটি কেউ স্পর্স করলে জ্বিনেরা নাকি আমার বড় ধরনের ক্ষতি করবে। ওরা আমাকে আরো বলে আমার বসত ঘরে মাটির নিচ হইতে ধন সম্পদ স্বর্ন অলঙ্কার ও মানিক রতন অলৌকিক ভাবে মাটি বেদ করে উঠবে। পরে আসামীদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে, আমি ব্যর্থ হই ,এমনকী তাদের কোনো হদিস পাওয়া যায় নি। পরে উক্ত কথীত স্বর্নের বল স্পস করে দেখি এটা রং করা রাবারের বল। পরে আমি এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে আলোচনা করে বোরহানউদ্দীন থানায় মামলা করি। বর্তমানে মামলাটি সিআইডির নিয়ন্ত্রনে আছে। এব্যাপারে পুলিশ পরির্দশ আজগর আলীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান যে আমার নেতৃত্বে সিআইডি সদস্য মোঃ সাদ্দাম হোসেন ও মোঃ শাহাবুদ্দীন আসামী রিপনকে অদ্য ইং-১৮-০৩-২০ তাং সকাল অনুমান ১০.৩০ ঘটিকার সময় ভোলা পৌরসভাস্থ্য সামসুদ্দীন মার্কেট কাজী অফিসের সামনের রাস্তা হতে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করি।